নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্ব এবং তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ দেশে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেনে, ইতোমধ্যে দেশের ১৬০টি দুর্গম ইউনিয়ন ছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবারের উচ্চগতির সংযোগ স্থাপন প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে।২০২৩ সালের মধ্যে দেশের এমন কোনো অঞ্চল থাকবে না, যেখানে উচ্চগতির সংযোগ থাকবে না।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) গাজীপুরে সজীব ওয়াজেদ উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্রে মুজিবশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর আমরা ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। পৃথিবীর যে ৬/৭টি দেশ ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুগে পা দিয়েছে, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে একটি বলে।
তিনি বলেন, ফাইভ-জি প্রযুক্তি হবে একটি ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি টু-জি, থ্রি-জি কিংবা ফোর-জি প্রযুক্তির মতো নয়। ফাইভ-জি প্রযুক্তি হবে পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার প্রযুক্তি।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নত বাংলাদেশের সোপান তৈরি করে গেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে ১৯৬৯ সালে তৃতীয় শিল্প বিপ্লব শুরু হয়েছিল বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র স্থাপন, আইটিইউ-ইউপিইউ এর সদস্য পদ অর্জন, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, বাংলা টাইপরাইটার প্রস্তুতকরণ, কুদরতে হুদা শিক্ষা কমিশন গঠন এবং কারিগরি শিক্ষা প্রসারের মধ্য দিয়ে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে অংশ গ্রহণের সূচনা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই শুরু হয়েছিল।
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান বক্তব্য দেন।
স্যাটেলাইট যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ একটি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন অনুষ্ঠানে সভাপতি ড. শাহজাহান মাহমুদ।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/৫ ডিসেম্বর ২০২১)