বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫ ২০২৫ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল | ৫ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

অনলাইনভিত্তিক কৃষি প্রণোদনা চালুর দাবি বারসিক ও পবার

সাইবারবার্তা ডেস্ক: বাজেটে অঞ্চলভিত্তিক কৃষি প্রণোদনার দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বারসিক ও পবার উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২১-২২: কৃষকের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভা থেকে এ দাবি করা হয়।

 

পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে ও বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থের সঞ্চালনায় অনলাইন আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম, পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান, বানিপার সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ, বারসিকের পরিচালক এ বি এম তৌহিদুল আলম, সৈয়দ আলী বিশ্বাস, মানিকগঞ্জের জেলা কৃষি উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি করম আলী মাস্টার, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার নারী উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি সেলিনা বেগম, মানিকগঞ্জের বায়রার কৃষক-কৃষাণী সংগঠনের সভাপতি রাবেয়া বেগম, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম, নেত্রকোনার কৃষক নেতা সায়েদ আহমেদ খান বাচ্চু প্রমুখ।

 

সভায় কৃষি অর্থনীবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টাকার অংকে বিবেচনা করলে এবারের বাজেটে কৃষিখাতে বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে মোট শতাংশ হিসেব করলে প্রকৃতপক্ষে এবারে কৃষি বাজেট বাড়েনি। পূর্ববতী বাজেটের বিষয়টি বিবেচেনা করলে এবারের কৃষিতে বাজেট আরও বেশি গুরুত্ব পেতে পারতো। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, প্রতিবছর যে ভর্তুকি দেওয়া হয় সেটি খরচ হয় না। তাই সরকারকে ভাবতে হবে এ ভর্তুকি যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার হয়। কৃষি উপকরণের জন্য ভর্তুকির কিছু রেখে বাকিটা যদি কৃষকের হাতে নগদভাবে বিতরণ করা হয় তাহলে কৃষকরা উপকৃত হবেন।

 

পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান বলেন, কৃষি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। করোনার এ সময়ে কৃষকদের অবদান মনে রাখতে হবে। কৃষকরা আমাদের সেবা দিয়ে আসছেন। তারা যদি উৎপাদন না করতেন তাহলে আমরা অভুক্ত থাকতাম। তবে কৃষকের জন্য যে সহায়তা দেওয়া হয় সেটা প্রান্তিক কৃষকরা পান না। তাই এদিকটাই সরকারকে দৃষ্টি দিতে হবে। কৃষি উপকরণগুলোর ওপর প্রণোদনা যাতে কৃষকরা সরাসরি পান তা মনিটর করতে হবে।

 

এছাড়া তিনি অনলাইনভিত্তিক কৃষি প্রণোদনা প্রচলন করার দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভিন্ন। বিভিন্ন অঞ্চল বিভিন্নভাবে দুর্যোগের সন্মুখীন হচ্ছে এবং মোকাবিলাও করছে ভিন্নভাবে। তাই অঞ্চলভিত্তিক প্রণোদনা ব্যবস্থা করা হলে কৃষকরা উপকৃত হবে।

 

আলোচনা সভা থেকে কৃষিপণ্যেও সংরক্ষণাগার তৈরি, জাতীয় কৃষিমূল্য কমিশন গঠন, কৃষকের জন্য পেনশন স্কিম চালু, কৃষককে খাদ্য যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দান, বাজেটে কৃষির ওপর বরাদ্দ আরো বাড়ানো, নারীকেও কৃষক হিসেবে স্বীকৃতি দান, কৃষি জমিতে ইটভাটা করা বন্ধ, কৃষি ভর্তুকি সুষম বণ্টনসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়।

 

(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/১০ জুন ২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ