সোমবার, মে ৬ ২০২৪ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল | ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

মঙ্গলগ্রহে পদার্পনের সম্ভাবনা বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক,সাইবারবার্তা ডট কম: মঙ্গলে চলাচল করতে পারে, এমন একটি বাহন বানিয়েছেন বাংলাদেশের একদল শিক্ষার্থী যা চলমান নাসার হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন রোভার প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠছে্। তবে চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত।উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ’সহ সারাবিশ্ব থেকে ৫৫টি দল অংশ নিয়েছে এ প্রতিযোগিতায়।  এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী যানই মঙ্গলে পাঠাবে নাসা।

 

লাল গ্রহ মঙ্গলের রহস্য উন্মোচনে ২০৩০ সাল নাগাদ নতুন একটি রোভার বা বাহন পাঠাতে চায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মঙ্গলের উঁচু নিচু পথ ও অন্যান্য বাধা পাড়ি দিতে সক্ষম বাহন খুঁজতেই ২০১০ সাল থেকে ‘হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন রোভার’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে নাসা।মঙ্গলের মতো কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে নিজেদের বাহন চালিয়ে দেখাতে হবে শিক্ষার্থীদের। কার্যকারিতা দেখে নির্ধারিত হবে ফল।

 

দেখতে চার চাকার সাধারণ মানের গাড়ি এটি। তবে, ‘বিএসি ইউনিভার ওয়ান পয়েন্ট ও’ নামের এই বাহনই চলতে পারবে মঙ্গলগ্রহে। বিএসি ইন্টারন্যাশনাল স্টাডি সেন্টারের বাংলাদেশ দল টেন ড্রিমার্স বলছে, এই যান চালাতে লাগবে না কোন জ্বালানী। বাহনটিতে থাকা প্যাডেলের সাহায্যে মঙ্গলের বুকে ঘন্টায় সবোর্চ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারবে নভোচারীরা।
মঙ্গলের আবহাওয়া বিবেচনায় চাকাতে টিউবের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছে স্প্রিং। এছাড়া, দুর্ঘটনা বা ছিঁড়ে যাওয়া এড়াতে বাইক চেনের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে রাবার বেল্ট। মঙ্গলের এবড়ো থেবড়ো ভূমিতে নভোচারীদের যাতে ঝাঁকুনি না লাগে সেজন্য রয়েছে ডুয়াল শক সাসপেনশন সিস্টেম। বাহনের গতি, তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য রয়েছে বিশেষ সেন্সর।

 

এ প্রসঙ্গে টেন ড্রিমার্সের ডিজাইনার তামিম আল মাহির অর্ক বলেন, মঙ্গলগ্রহের ভিডিও ধারণের জন্য আমরা ৩৬০ ডিগ্রী ক্যামেরা ব্যবহার করেছি।

 

সাইবার বার্তা.কম/এনটি/জেডআই/২৯ মার্চ ২০২১

 

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ