রবিবার, মে ১৯ ২০২৪ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল | ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ফেসবুকের মাধ্যমেই বেড়ে চলেছে দেহব্যাবসা

সাইবারবার্তা ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ফুলে ফেঁপে উঠেছে দেহ ব্যবসা। সম্প্রতি মার্কিন সংস্থার সমীক্ষার এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। দ্য হিউম্যান ট্রাফিকিং ইনস্টিটিউট নামের সংস্থার দাবি, ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট, উইচ্যাট ও ইনস্টগ্রামের মাধ্যমে ফাঁদ তৈরি করে দেহ ব্যবসায় নামানো হয়েছে।

 

জানা গেছে, সংস্থাটির দাবি- দেহ ব্যবসার মধ্যে প্রায় ৫৯ শতাংশই জনপ্রিয় ফেসবুকের মাধ্যমে হয়েছে। মানুষদের কিভাবে ফাঁসানো হচ্ছে- এ বিষয়েও জানিয়েছে সংস্থাটি। বলেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নাবালক-নাবালিকাদের লক্ষ্য করা হয়। এদের লোভনীয় কাজের অফার দেয়া হয়। যাতে কম কাজে অনেক বেশি আয় করার সুযোগ থাকে। আর এভাবেই দেহ ব্যবসার গভীরে ঠেলে দেয়া হয় তাদের। এছাড়াও অনেক সময় প্রেমের টোপ দিয়েও ফাঁসানো হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

সংস্থার সিইও ভিক্টর বুওত্রোসের জানিয়েছেন, মানব পাচারকারীরা সর্বদা খুবই সহজ জনপ্রিয় মাধ্যম বেঁছে নিয়ে থাকেন। এতে খুব সহজে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। এ কারণে ফেসবুক তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি হাতিয়ার। আর এতে মহিলারাই বেশিরভাগ সময় ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন।

 

এদিকে সংস্থাটির এ প্রতিবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেছেন ফেসবুকের মুখপাত্র জিন মোরান। তিনি জানিয়েছেন, ফেসবুকে দেহ ব্যবসা, শিশু-নিগ্রহের মতো কোনো ঘটনা বরদাস্ত করা হয় না। যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয় এই মাধ্যমের সুরক্ষা ব্যবস্থা খুবই ভালো। কোথাও খারাপ কিছু দেখলেই তা সরিয়ে ফেলা হয়।

 

তিনি আরও জানিয়েছেন, ক্ষতিকারক ছবি পর্যন্তও রাখা হয় না। ফেসবুক একাধিক অ্যান্টি-ট্র্যাফিকিং সংস্থার সঙ্গে জড়িত। কোথাও কোনো অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এমনকি ফেসবুকের মাধ্যমে অনেক অপরাধ রোখা সম্ভব হয়েছে।

 

(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/১৪ জুন ২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ