মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০ ২০২৪ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল | ২০শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কুবিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে অনিয়মের অভিযোগ

সাইবারবার্তা ডেস্ক: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে শহীদ মিনারে কোনো প্যান্ডেল না থাকা, খাবার সুষ্ঠু বিতরণ না হওয়া ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের (একাংশ) আলোচনা সভায় অসহযোগিতাপূর্ণ আচরণের অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে কোনো প্যান্ডেল না থাকায় তপ্ত রোদের কারণে শহীদ মিনারে খালি পায়ে অবস্থান করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে শহীদ মিনারে কমপক্ষে একটা প্যান্ডেল করা উচিত ছিল। যাতে রোদের কারণে শহীদ মিনারে অবস্থান অসহনীয় হয়ে না পড়ে।

প্যান্ডেল না থাকায় শহীদ মিনারে রোদের কারণে অবস্থান করতে সমস্যা হয়েছে বিষয়টি স্বীকার করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ড. মো. শামীমুল ইসলাম বলেন, শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার পর আমরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে আলোচনা সভা করবো। তাই আমরা শহীদ মিনারে সেরকম আয়োজন রাখতে পারিনি।

এদিকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দুপুর ১২টায় টিচার্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের (মিজান-নাসির) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার নানা বিষয়ে আলোচনা চলাকালে একই রুমে প্রশাসন খাবার বিতরণ করে আলোচনা সভার সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করে অসহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করেছে। এই অভিযোগ করেছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের (মিজান-নাসির) সভাপতি ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

এছাড়াও অনুষ্ঠান শেষে খাবার বিতরণে শৃংখলার ঘটতি থাকায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরাও খাবার পায়নি। একজন বিভাগীয় প্রধান অভিযোগ করে বলেন, আজকে যে খাবারের আয়োজন রাখা রয়েছে সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য জানানো হয়নি আমাকে। তিনি বলেন, আজকের আয়োজন কোনভাবেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজন বলে মনে হয়নি। সম্পূর্ণ দায়সারাভাবে এ আয়োজন করা হয়েছে।

এসব বিষয়ে ড. মো. শামীমুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকরা শিক্ষক লাউঞ্জ ব্যবহার করবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমি শিক্ষক সমিতির সভাপতি। তারা আমাকে একটিবারও বিষয়টি জানায়নি। এটা তারা ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। আর খাবার কম পড়ার কথা নয়, আমরা ২২০টি প্যাকেটের আয়োজন করেছি। একজায়গা থেকে বিতরণ সম্ভব ছিল না বলে চার ক্যাটাগরির চারটি বুথ করে বিতরণ করেছি। সেখানে খাবার কম পড়ার কথা নয়।

২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবসে একটি মাত্র ফুল দেয়ার অনুরোধ থাকলেও খোদ রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরই মানেননি এই নিয়ম। বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে ফুল দিতে দেখা যায় তাকে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান ও শিক্ষক সমিতির সভাপতিসহ বিভিন্ন শিক্ষকও এ নিয়ম অমান্য করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিজ্ঞপ্তিতে একটি মাত্র ফুল দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ ছিল সেটা আমি জানি না। আসলে আমি জানলে এভাবে অংশ নিতাম না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বারবার ফোন দেয়া হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। সৌজন্যে: ঢাকাটাইমস

 

(সাইবারবার্তা.কম/কম/২৬মার্চ২০২১)

 

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ