রবিবার, এপ্রিল ২৭ ২০২৫ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল | ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মারজান স্বীকারোক্তি দিয়েছে, আমি জড়িত নই : ফেসবুকে সামিয়া

এখন প্রভাবশালী, ক্ষমতাধর, নাটের গুরুদের বক্তব্য- শিকাগো জার্নালের চিঠি মিথ্যা তো কি হয়েছে। অভিযোগ তো সত্য। প্লেজারিজম তো হয়েছে। তাদের চামচারাও সুর মিলিয়ে, তাল মিলিয়ে বলছেন, আরে হ্যাঁ তাইতো, অভিযোগ তো সত্য। চিঠিতে কি এসে যায়! ভুলে যাও চিঠির কথা।
ভাই এই মিথ্যা চিঠির ভিত্তিতেই তো তদন্ত শুরু হলো । চিঠিটা তৈরি করলেন কে তাহলে? এখন এই কথা বলছেন কেন? পাছে চিঠি তৈরির পেছনের রহস্যে তাদের জড়িত থাকার যদি প্রমান মিলে যায়, তাই ? ঘটনা তো অন্যদিকে ঘোরাতেই হবে। ঘটনা প্লেজারিজমে নিয়ে গেলে, জনগণ তাদের নোংরামি, তাদের ষড়যন্ত্র বুঝবে না, তাই আজ এই সুর! একটা জিনিষের শুরুটাই যখন মিথ্যা তখন বুঝতে হবে পুরোটাই ষড়যন্ত্র আর মিথ্যা।
ভাইরে প্লেজারিজমের অভিযোগও মিথ্যা । যে মিথ্যা চিঠি তৈরি করেছেন, অভিযোগ প্রমানীত না হওয়া সত্তেও, সেটাকে সত্যি বলে প্রচার করছেন- সেই চিঠির অস্তিত্ব যেমন মিথ্যা, তেমনি পুরো বিষয়ে আমার জড়িত থাকার প্রমানও মিথ্যা। প্রেস কনফারেন্সে যথেষ্ট বলেছি, তারপরও যাদের মগজে ঢোকেনি, ক্রমাগত বলেই যাচ্ছেন ক্ষমতাধরদের তুষ্ট করতে, ফেসবুকে নোংরামি করতে – তাদের আবার বলছি- মারজান তদন্ত কমিটির কাছে লিখিত স্বীকারোক্তি দিয়েছিল লেখা সেই জমা দিয়েছিল, সেই রিভিউ করেছিল, এটা তার অনিচ্ছাকৃত ও অনভিজ্ঞতাবশত ভুল। এর জন্য সে দুঃখ প্রকাশও করেছিল। লেখা জমা দেয়া থেকে ছাপানো পর্যন্ত আমার জড়িত থাকার কোনো প্রমান তদন্ত কমিটিও পায়নি ( যে তদন্ত কমিটি শুরু থেকে নাটের গুরু হিসেবে প্রতিহিংসা বিলিয়েই যাচ্ছেন মিডিয়ার সামনে)। তদন্ত কমিটি বলেছে আমার জড়িত থাকার দালিলিক প্রমান অষ্পষ্ট। আমার কাছ থেকে লেখা জমা নেবার যেমন কোনো প্রমান নেই, তেমনি রিভিউয়ারের কপিও আমার কাছে পৌছায়নি ট্রাইব্যুনালের সদস্য ড. জিনাত হুদাই বলছেন। মারজানের নিজে জমা দেবার ও রিভিউ করার লিখিত স্বীকারোক্তির পরও কেমন করে তদন্ত কমিটি বলে দালিলিক প্রমান অষ্পষ্ট ?
কাদের এতো প্রতিহিংসা আমাকে নিয়ে? চিঠি কি তবে তারাই তৈরি করেছেন? ট্রাইব্যুনাল বলছে প্লেজারিজম হয়নি। দরকার হলে ট্রাইব্যুনালের সদস্য ড.জিনাত হুদাকে জিজ্ঞেস করুন। ট্রাইব্যুনালের আহবায়ক ড. রহমতউল্লাহ তো নিজেই গণমাধ্যমকে জানিয়েই দিয়েছেন এটা প্লেজারিজম হয়নি। সিন্ডিকেট অন্যায় করেছে, তিনিই বলছেন। সিন্ডিকেট সকল প্রমান উপেক্ষা করে ক্ষমতার বলে গায়ের জোরে সিদ্ধান্ত চাপালে মূল ষড়যন্ত্রের সাথে কারা কারা জড়িত প্রমান কিন্তু মিলে যায়।
ড. আরেফিন স্যারকে জিজ্ঞেস করুন ২০১৭ সালের ফ্রেবুয়ারিতে আমি তাকে আর্টিকেল দেখিয়ে পরামর্শ চেয়েছিলাম কিনা ! তিনিই তো আমাকে বলেছিলেন ড. ফরিদউদ্দিনকে বলো বিষয়টি সিন্ডিকেটে তুলতে। ফরিদ স্যার তুললেন না কেন? কেন ঘটনাটি সবাই জানার সাত মাস আগে ৫ ফেব্রুয়ারি লেখা প্রত্যাহারের চিঠিতে ডিন ফরিদউদ্দিনের সাক্ষর থাকা সত্ত্বেও সেটি গ্রহণ করেনা তদন্ত কমিটি ও সিন্ডিকেট? কেন ৮ ফেবুৃয়ারি ২০১৭ তারিখে মারজানকে দেয়া আমার মেইলটিও ( যেখানে স্পষ্ট করে লেখা আছে মারজান সব জমা দিয়েছে, সে রিভিউ করেছে) সেটি তদন্ত কমিটি ও সিন্ডিকেট গ্রহণ করেনা। কেন তাদের এতো প্রতিহিংসা আক্রোশ আমার বিরুদ্ধে?
আমি রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টে তিনবার অ্যাপিল করার পর বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দেয় আমাকে কোনো তথ্য সরবরাহ করা হবেনা। কেন? কোন আইন বলে? বিশ্ববিদ্যালয় কি কারো বাপের বাড়ি? নিজের সম্পত্তি? তাই মনে হয় এখন। আপনারা রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টে ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি চান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে, সেখানেই সব প্রমান দেখতে পাবেন। ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হবে বলেই কি আমাকে কোনো তথ্য দেয়া হচ্ছে না?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিয়া রহমানের ফেসবুক পোস্ট (৩ মার্চ ২০২১) থেকে হুবহু সংগৃহীত। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে গবেষণাপত্রে চৌর্যবৃত্তির (প্লেজারিজম) অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি হিসেবে ট্রাইব্যুনাল তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে পদাবনতি করেছে।  সে বিষয়ে তিনি এই পোস্টে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।   
(সাইবারবার্তা/কম/৩মার্চ)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ