নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: প্রযুক্তি বিষয়ক ব্যবসার উদ্যোগ ও উদ্ভাবন প্রতিষ্ঠায় ‘শতবর্ষে শত আশা’ প্রকল্পের মাধ্যমে চলতি বছরেই ৫০টি উদ্যোগকে ১০০ কোটি টাকার তহবিল সহযোগিতা দেয়া শুরু করলো আইসিটি বিভাগ। আর এর মাধ্যমেই লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে বিনিয়োগ সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যক্রম শুরু করলো স্টার্টআপ বাংলাদেশ।
বুধবার (৩১ মার্চ) আইসিটি টাওয়ারের সম্মেলন কক্ষে সাতটি স্টার্ট আপকে (চালডাল ডটকম, পাঠাও, সেবা এক্সওয়াই জেড, এড্যু হাইভ, ঢাকা কাস্ট মনের বন্ধু) ১৫ কোটি টাকার মূলধন সহযোগিতা দেয়ার মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, এটা একটা স্টার্টআপ জার্নি। আমি মন্ত্রী হিসেবে স্টার্টআপ। স্টার্টআপ বাংলাদেশও স্টার্টআপ। কিন্তু ইতোমধ্যেই আমাদের স্টার্টআপ গুলো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চ্যালেঞ্জের মুখে রেখেছে।
তাই উদ্যোগটি নতুন বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই উদ্যোগ দেশে একটি জাতীয় উদ্যোক্তা প্লাটফর্ম তৈরি করবে। নতুন নতুন উদ্ভাবন বাস্তবায়নে গতি আনবে। সম্ভাবনাময় কোনো উদ্যোগই আর ঝড়ে পড়বে না। ঘুচবে উদ্যোগ বাস্তবায়নের আর্থিক সঙ্কট। সৃষ্টি করবে নতুন কর্মসংস্থান। কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে পালন করবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ফান্ডিংটা ভিন্ন। এখানে বস্তুগত কোনো পুঁজি দরকার হবে না। এখান থেকে বিনেয়াগ পেতে লাগবে মেধাসম্পদ।
এসময় তিনি জুম, নেটফ্লিক্স ও ইউটিউবের মতো প্লাটফর্ম তৈরি করতে তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের সম্মিলনে নেয়া এই উদ্যোগটি প্রথাগত ভেঞ্চার থেকে ভিন্নমাত্রা যোগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী। যাদের মুনাফার সম্ভবনা কম মনে হলেও সেগুলোকেও যেনো তহবিল সহযোগিতা করা হয় সে বিষয়ে অনুরোধ করেন তিনি।
এছাড়াও অনলেইনে সংযুক্ত হয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব।
এরপর দেয়া বক্তব্যে ‘শতবর্ষে শত আশা’ উদ্যোগটি বাংলাদেশ নয় বিশ্বে বাংলাদেশের পতাকাবাহী উদ্যোগ হিসেবে জায়গা করে নেবে বলে মন্তব্য করেন স্টার্ট আপ বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনা এফ জাবিন।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কোরিয়ান কোম্পানি ইয়াংওয়ান কর্পোরেশনচেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কিহাক সাঙে, ইউএস মার্কেট অ্যাকসেস প্রেসিডেন্ট ক্রিস বেরি, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা তুরান, লাইট ক্যাসেল সিইও বিজন ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন স্টার্টআপ বাংলাদেশের বোর্ড প্রধান আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম ও অন্যান্য সদস্যরা এবং শুভাকামনা জানিয়ে বার্তা পাঠান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ।
এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।