শনিবার, অক্টোবর ১২ ২০২৪ | ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল | ৮ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ভার্চুয়াল মিউজিয়ামে গণহত্যার স্মারক

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: বিশ্ব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল মানচিত্রে প্রকাশ করা হচ্ছে গণহত্যার স্মারক। ভার্চুয়াল দুনিয়ার জেনোসাইড মিউজিয়ামে প্রকাশ করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে পাক-হানাদার ও তাদের দোসরদের হাতে নির্মমতার সাক্ষী গণহত্যার স্থান, বধ্যভূমি, গণকবর, নির্যাতনকেন্দ্র ও স্মৃতিফলক। ইতোমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে ১০টি জেলার স্মারক মানচিত্র।

 

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০টি জেলার ৮৩৪টি স্মৃতিচিহ্ন চিহ্নিত করে ম্যাপটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ‘১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’।

 

খুলনায় স্থাপিত এই জাদুঘর থেকে ৬৪ জেলায় গণহত্যা-গণকবর, বধ্যভূমি ও নির্যাতনকেন্দ্র সম্পর্কে জরিপ পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে খুলনা বিভাগের প্রায় সব স্মৃতিচিহ্নই প্রকাশ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পাবনা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, যশোর, নড়াইল ও ফরিদপুরের গণহত্যার স্মৃতি চিহ্ন আছে এখানে। যে ৮৩৪টি জিপিএস স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে গণহত্যা ৪৫৯, বধ্যভূমি ১৭৭, গণকবর ৯১ ও নির্যাতনকেন্দ্র ১০৭টি।

 

প্রচ্ছদের ম্যাপে গাঢ় লাল রঙের পিন দিয়ে গণহত্যার স্থান, কালো রঙের পিন দিয়ে বধ্যভূমি, লাল রঙের পিন দিয়ে গণকবর, খয়েরি রঙের পিন দিয়ে নির্যাতনকেন্দ্র ও সবুজ রঙের পিন দিয়ে স্মৃতিফলক চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

অত্যাধুনিক জিপিএসের (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) সহায়তায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করে নিখুঁতভাবে একাত্তরের স্মৃতিচিহ্নগুলো বিস্তারিত বিবরণসহ তুলে ধরা হয়েছে ইন্টার-অ্যাকটিভ ম্যাপে।

 

ম্যাপে স্পটগুলোকে এমন ইন্ট্যার-অ্যাকটিভভাবে স্থাপন করা হয়েছে যে কেউ চাইলেই ওয়েবসাইট থেকে এক ক্লিকে সেই স্থানে প্রবেশ করে সেখানকার ছবি দেখতে পারবেন; ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

 

ডিজিটাল সুবিধায় ম্যাপের যেকোনো পিনে ক্লিক করলে প্রথমেই ওই স্থানের ছবিসহ নাম আসছে। নামের ওপর ক্লিক করলে আসে আরো একাধিক ছবি ও পরিচিতি। প্রতিটি লেখা বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় রয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত সম্পন্ন ২৮ জেলার জরিপে ১১ হাজার ৩৫৬টি গণহত্যার ঘটনা সংঘটিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। গণহত্যার স্মৃতিচিহ্ন মিলেছে দুই হাজার ৪৯৮টি। এর মধ্যে মিলেছে ৮৪৬টি গণকবর, ৬৫৪টি বধ্যভূমি, ৯৯৮টি নির্যাতনকেন্দ্র। এই স্মৃতিচিহ্নগুলোতে স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে ৪৭টি। এগুলোকে ডিজিটাল মানচিত্রে যুক্ত করতে  এরই মধ্যে ২৮টি জেলার জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ১৭টি জেলায় জরিপকাজ চলছে।

 

(সাইবারবার্তা.কম/কম/২৬মার্চ২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ