সাইবারবার্তা ডেস্ক: প্রযুক্তির ভাষা কোডিং। মানব সভ্যতার শিকারী যুগ, কৃষি যুগ, শিল্প যুগ, তথ্যযুগ অতিক্রম করার পর সুপার স্মার্ট যুগে বাসিন্দাদের মাতৃভাষাসম হয়ে উঠবে যান্ত্রিক এই ভাষাটি। কেননা যন্ত্র-মানবের সখ্যতার ওপর ভিত্তি করেই পূর্ণতা পাবে চতুর্থ শিল্প-বিপ্লব। তখন বিশ্ব পরিচালিত হবে এই কোডারদের মাধ্যমে।
সামনের উদ্ভবন ও চরম সৃজনশীলতা সেই সময়ে ইতোমধ্যেই শিক্ষার বুনিয়াদি জ্ঞান হয়ে উঠছে প্রোগ্রামিং। তাই প্রাথমিক থেকেই শিশুদের প্রোগ্রামিং শেখানোর দিকে উৎসাহিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে আইসিটি বিভাগ। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মাধ্যমে ষষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণি এবং সমমানের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংকে জনপ্রিয় করতে ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সহযোগিতায় জাতীয় ভাবে আয়োজন করছে জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। ২০১৭ সালেই প্রাথমিকে কোডিং শেখানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।
এরপর থেকেই প্রতিযোগিতার পাশাপাশি জাতীয় পাঠ্যক্রমেও প্রোগ্রামিং অন্তর্ভূক্তিতে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সেই সূত্রধরে নতুন পাঠ্যক্রমের চতুর্থ শ্রেণীতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে- প্রোগ্রামিং এর হাতে খড়ি।
কিন্তু নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের আগেই আগামী জানুয়ারি মাস থেকেই প্রাথমিক স্কুলে কোডিং শেখানোর কাজ শুরু করতে চাইছে আইসিটি বিভাগ। উদ্যোগ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে রোববার রাতে অংশীজনদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। বৈঠক সূ্ত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বৈঠকে প্রাথমিক থেকেই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে যোগ্য মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে কোডিং শিক্ষার মাধ্যমে শৈশব থেকেই সৃজনশীলতার বিকাশের মাধ্যমে তাদেরকে ‘টেকনোভেটরস’ হিসেবে গড়ে তুলতে দ্রুততম সময়ে পদক্ষেপ গ্রহণে ১১ সদস্যের একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, বিডিওএসএন সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান প্রমুখ সংযুক্ত ছিলেন।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/৭ জুন ২০২১)