সোমবার, নভেম্বর ৪ ২০২৪ | ১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল | ১লা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

চুয়েটে ‘এনভায়রনমেন্টাল রেস্টোরেশন টুয়ার্ডস সার্কুলার ইকোনমি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনার অনুষ্ঠিত

সাইবারবার্তা ডেস্ক: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিচার্স (CESER) এবং পুরকৌশল বিভাগের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে পরিবেশ পুনরুদ্ধার ও চক্রাকার অর্থনীতি নিয়ে ‘এনভায়রনমেন্টাল রেস্টোরেশন টুয়ার্ডস সার্কুলার ইকোনমি’ (Environmental Restoration Towards Circular Economy) শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১৪ জুন (সোমবার) রাতে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। সেমিনারেমূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সাধন কুমার ঘোষ। পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলম।

 

মডারেটর হিসেবে ওয়েবিনার পরিচালনা করেন গবেষণা সেন্টারের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোছাঃ ফারজানা রহমান জুথী।এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন সেন্টারের গবেষণা সহকারী অধ্যাপক জনাব মো. আরিফ হোসেন। সেমিনারে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

 

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, “পরিবেশের উপর যা ক্ষতি করার তা আমরা ইতোমধ্যে করে ফেলেছি। পরিবেশ এখন আমাদের উপর তার বিরূপ প্রভাব দেখাচ্ছে। আমাদের দেশে বর্তমানে বিভিন্নমুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে। আমাদের খেয়াল রাখতে এসব উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিবেশগত দিকটা যেন সবচেয়ে গুরুত্ব পায়। কারণ একবিংশ শতাব্দীতে এসে উন্নয়নের সাথে কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এক্ষেত্রে বিশাল একটা প্রতিবন্ধকতা। সেজন্য আমাদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হবে। আমরা নিজেরা সচেতন হলেই অর্ধেক কাজ হয়ে যায়। এরপরে স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারি পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। পাশাপাশি পরিবেশগত ক্ষতি পোষাতে বৃক্ষরোপণ ও সামাজিক বনায়নের প্রতি আমাদের মনযোগ বাড়াতে হবে।”

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনে মানুষকে সচেতন করতে প্রতিবছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়। বিপন্ন পরিবেশ ও ইকোসিস্টেমকে পুনরুদ্ধার করতে বর্তমানে সার্কুলার ইকোনমি একটা গুরুত্বপূর্ণ মডেল। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- রিনিউয়েবল এনার্জির ব্যবহার ও বর্জ্যের ক্ষতিকর কেমিক্যাল অপসারণের মাধ্যমে উৎপাদন ও প্রাকৃতিক ইকোসিস্টেমের ব্যবধানটা কমিয়ে আনা। সম্প্রতি আমাদের দেশেও পরিবেশগত সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেলক্ষ্যে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি পরিবেশের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছেন।”

 

সেমিনারে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সাধন কুমার ঘোষ বর্তমান বিশ্বের পরিবেশ ভারসাম্যহীনতার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। পাশাপাশি পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় এবং পরিবেশ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে সার্কুলার ইকোনমির প্রয়োজনীয়তার ওপর তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন।

 

(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/১৫ জুন ২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ