সাইবারবার্তা ডেস্ক: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক যুবকের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণ ও মুঠোফোনে ধর্ষণের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ওমর ফারুক সোহান (২২) আলফাডাঙ্গা উপজেলার একটি কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলায়। বুধবার (২১ এপ্রিল) তাকে একমাত্র আসামি করে বোয়ালমারী থানায় ওই কিশোরীর মা মামলা করেছেন।
দেশে এ ধরনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের ভুক্তভোগীদের ৬৯ শতাংশই কাছের মানুষদের হাতে নিপীড়নের শিকার হন। এ ধরনের অপরাধ থেকে বাঁচতে প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও ধর্মীয়-নৈতিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
ফরিদপুরের ঘটনায় মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওমর ফারুক বেশ কিছুদিন ধরে ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। একপর্যায়ে তার সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের কথা বলে গত ২ জানুয়ারি সকাল পৌনে ৯টার দিকে নিজের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ফারুক। এ সময় ছবিও তুলে রাখে ফারুক। ওই ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েক দফা ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মেয়েটি আর সাড়া না দেয়ায় ওমর ফারুক তার মুঠোফোনে থাকা আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
ওমর ফারুক পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তার মা বলেন, যে তারিখে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে ওই সময় তিনি চট্টগ্রামে তার স্বামীর কাছে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে জানতে পেরেছেন ওই তরুণী তার বাড়িতে মাঝে মধ্যে এসে থাকত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হোসেন বলেন, ওই তরুণীর ২২ ধারায় জবানবন্দি এবং মেডিকেল চেকআপ সম্পন্ন করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। -ঢাকাটাইমস
(সাইবারবার্তা.কম/এমএ/২২এপ্রিল২০২১)