সাইবারবার্তা ডেস্ক: এখনই রোধ করতে না পারলে ডিপফেইক পর্ণোগ্রাফি মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলে সতর্ক করেছেন একজন আইন বিশেষজ্ঞ। ডিপফেইক পর্ণোগ্রাফি হচ্ছে- প্রযুক্তির অপব্যবহার করে কোনো তারকা বা ব্যক্তির মুখোয়ব কোনো পর্ণো ছবি বা ভিডিওর ব্যক্তির সঙ্গে জুড়ে দিয়ে নিখুতভাবে তৈরি করা। এ ধরনের ভূয়া ছবি বা ভিডিও দেখে সাধারণ অবস্থায় যে কেউ ধোকায় পড়ে যাবে, অর্থাৎ ভুক্তভোগীর মুখ দেখে মনেই হবে না যে ভিডিওর ব্যক্তিটি তিনি নন!
অধ্যাপক ক্লার ম্যাকগ্লিন বলেন, আজকাল একজন অপরাধীর পক্ষে একজন নারীকে ভার্চুয়াল আবহে হেনস্থা করা খুব সহজ হয়ে গেছে। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গেছে, ডিপফেইক সংক্রান্ত হয়রানির ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনেক সময় ঘনিষ্ট জনদের মাধ্যমেও এমন হয়।
একজন ভুক্তভোগী নারী জানান, তিনি এমন একজনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঘটনার শিকার হয়েছেন, যাকে তিনি ১০ বছর আগে বিশ্বাস করে সম্পর্ক করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমাদের ব্রেকআপের কিছু দিন পর সেই এক্স-বয়ফ্রেন্ডের কাছ থেকে আমি কিছু ম্যাসেজ পাই। বার্তায় সে হুমকি দিয়ে বলে, আমার কিছু আপত্তিকর ছবি তার কাছে আছে!” এ ঘটনার কয়েক মাস পর আমি একটি পর্ণো সাইটের মডারেটরের কাছ থেকে ই-মেইল পাই।
সেখানে বলা হয়, আপনি কি নিশ্চিত যে, আপনার এই ছবিগুলো আপনি ইন্টারনেটে দিতে চান? তখনই আমি বুঝতে পারি, এটি আমার এক্স-বয়ফ্রেন্ডের কাজ। সে ছবিগুলো পর্ণো সাইটে দেয়, এমনকি আমার আসল নামও সেখানে উল্লেখ করে। আর এর পর পর্ণো সাইট এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এর পর পুলিশকে জানানো হয়। ছবিগুলো তারা জব্দ করে।
হেলেন মোর্ট নামের একজন লেখিকাও একজন ডিপফেইক ভুক্তভোগী। বছর দুয়েক আগে এক পর্ণো সাইটে তার ভূয়া ছবি দেখতে পান, যা ২০১৭ সালে সেখানে প্রকাশ করা হয়। ডিপফেইক বিশেষজ্ঞ হেনরি আজদার জানান, ডিপফেইক প্রবণতা ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয়। এটি যে ধরনের সফটওয়্যার দিয়ে করা হয়, সেগুলো ওপেনসোর্স বা উন্মুক্ত থাকার কারণে যে কেউ সহজে এগুলো ব্যবহার করে ভূয়া ভিডিও বানাতে পারে!
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/২ জুন ২০২১)