নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একসময়ের অপরিচিত বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছেন। তার নেতৃত্বে ডিজিটাল দেশ হিসেবে সারা বিশ্বের কাছে খ্যাতি পেয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ- টিআরএনবি আয়োজিত ‘ভাতা বিতরণে ডিজিটাল প্রযুক্তি : স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী।টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ নির্ধারণ করেছিলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ভেবে মানুষকে বিপথগামী করার লক্ষে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের সকল ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপান্তর করে দেখিয়েছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, সারা বিশ্ব অবাক, যে প্রধানমন্ত্রী কিভাবে এক সময়ের অচেনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করে এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের ভাগ্যকে পরিবর্তন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেন, সে কথা বাস্তবায়ন করেন। মানুষ আজ ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যাখান করেছে।
সবাইকে নতুন প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সামজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, কোটি কোটি অসহায় মানুষের কল্যাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর যে প্রত্যাশা তা পূরনে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র ও অসহায় মানুষের কল্যাণের জন্য যে কর্মসুচিগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন সেগুলো সফল করতে হবে। দেশ আজ উন্নত বিশ্বে পরিণত হতে যাচ্ছে। দেশের ১৭ কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রেখেছে। গুটিকয়েক স্বাধীনতা বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে আমাদের উন্নয়নের গাতধারাকে ম্লান করতে পারেব না।
মন্ত্রী আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারীতেও আমাদের উন্নয়নের গতিধারা প্রধানমন্ত্রী অব্যাহত রেখেছেন। তাঁর নির্দেশনায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বয়ষ্কভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী উপবৃত্তি প্রদানসহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রায় এক কোটি ভাতাভোগীকে ভাতা প্রদানে সক্ষম।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবি-এর সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে। এছাড়াও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষার উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. ইউসুফ আলী, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, অ্যামটবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিআইএম নূরুল কবির এবং নগদ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক ভার্চুয়াল আলাপনে বক্তৃতা করেন।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/৪ জুলাই ২০২১)