সাইবারবার্তা ডেস্ক: ফ্রিল্যান্সারদের প্রণোদনার চেয়ে বেশি উপকার হবে যদি অর্জিত আয় থেকে বিদেশে ডলার খরচের সুবিধা থাকে কিংবা পেপ্যাল-এর বিকল্প কোন ভার্চুয়াল ওয়ালেটের সুবিধা দেওয়া যায়
ফ্রিল্যান্সাররা তাঁদের অর্জিত বিদেশি আয় নির্ধারিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে দেশে আনলে এর বিপরীতে ৪ শতাংশ নগদ সহায়তা পাবেন- এই লক্ষ্যে ৫৫টি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম তথা মার্কেটপ্লেসকে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সরকারের উদ্দেশ্য বৈধপথে ফিল্যান্সাররা যেন দেশে টাকা আনতে আগ্রহী হবেন। কিন্তু সত্যি কথা বলতে- ‘সত্যিকার ফ্রিল্যান্সাররা কখনো অবৈধ পথে টাকা আনেন না, শতভাগ টাকাই বৈধ পথেই দেশে আনেন’, প্রনোদনার মাধ্যমে ৪শতাংশ আয় বাড়বে এটা ভালো দিক । কিন্তু এর চেয়ে বেশি উপকার হতো যদি সরকার ইন্টারন্যাশনাল ভার্চুয়াল ওয়ালেটের ব্যবস্থা করে দিতেন, যেহেতু পেপ্যাল সুবিধা আমাদের নেই।
কারণ ফিল্যান্সাররা শুধু ইনকামই করেন না তাদেরকে স্কিলডেভেলপমেন্ট, বিভিন্ন সার্ভিস কেনা ইত্যাদি কাজের জন্য বিদেশে ডলারও পাঠাতে হয়। আর এই ডলার পাঠানোর কাজটিই হয় অবৈধভাবে। কারণ ডুয়াল কারেন্সি সিস্টেমে আমাদের দেশে বছরে ১২হাজার ডলার খরচের যে লিমিটেশন ও জটিলতা আছে তাতে অনেকেই বিরক্ত হয়ে বাধ্য হয় অবৈধ পথে ডলার পাঠাতে।
তাই ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের হিসেব অনুযায়ী তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ডলারে খরচ করার সুবিধা দিলে তা প্রনোদনা দেওয়ার চেয়েও অনেক বেশি উপকারে আসবে। উল্লেখ্য যে অনেক ফ্রিল্যান্সার আছেন যাদেরকে নিয়মিতই ডলার বিদেশে খরচ করতে হয়, তারা সাধারণত উপার্জিত ডলারগুলো দেশের একাউন্টে আনেনই না, বিদেশি ভার্চুয়াল ওয়ালেটে কিংবা বিদেশি একাউন্টে রেখে দেন। তাই যদি ডলার আনার সুবিধার পাশাপাশি ডলার খরচের সুবিধাও দেওয়া হয় তাহলে দেশের ভান্ডারের বিদেশি রাজস্ব আয় আরও অনেক বেশি বেড়ে যাবে।
সালাউদ্দিন সেলিম, প্রযুক্তিবিদ
(সাইবারবার্তা.কম/কেএম/১ফেব্রুয়ারি২০২২)