নিজস্ব প্রতিবেদক,সাইবারবার্তা: সমাজবিজ্ঞানী, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের পর নতুন প্রযুক্তি হিসেবে ফেসবুক-টুইটারকে মানব জীবনের জন্য হুমকী ও বিপজ্জনক বলে মনে করছেন জীববিজ্ঞানী কিংবা বাস্তুবিদেরা।
বিজ্ঞান জার্নাল প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে (পিএনএএস) প্রকাশিত নতুন এক গবেষণাপত্রে মানবসম্প্রদায়ের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সার্বিক প্রভাব নিয়ে এই শঙ্কার বিষয়ে একাট্টা হয়েছেন ১৭ জন গবেষক।
জলবায়ুবিজ্ঞান থেকে দর্শন পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো তাদের গবেষণা। গবেষণায় তারা জানিয়েছেন, এই মিডিয়াগুলো আগামীতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, রোগ, সহিংস উগ্রবাদ, দুর্ভিক্ষ, বর্ণবৈষম্য এবং যুদ্ধের মতো ব্যাপারগুলোতে মদদ জোগাবে।
‘স্টুয়ার্ডশিপ অব গ্লোবাল কালেকটিভ বিহেভার’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে গবেষকরা বলেছেন, সমাজে প্রযুক্তির বৃহত্তর প্রভাবকে ‘ক্রাইসিস ডিসিপ্লিন’ হিসেবে গণ্য করতে হবে। কেননা নতুন প্রযুক্তির ‘সমন্বিত আচরণগত প্রভাব’ সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার জ্ঞানের অভাব গণতন্ত্র এবং বিজ্ঞানবিষয়ক উন্নতির জন্য বিপজ্জনক।
এদিকে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট রিকোড গবেষণাপত্রটির মূল লেখক জো বাক-কোলম্যান এবং সহলেখক কার্ল বার্গস্ট্রমের যে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সেখানেও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/২৯ জুন ২০২১)