মঙ্গলবার, জানুয়ারি ২১ ২০২৫ | ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল | ২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

জুলাই বিপ্লব: ডিজিটাল এভিডেন্স সংরক্ষণে বিটিআরসি-এনটিএমসিকে নির্দেশ

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময়ের (জুলাই বিপ্লব) সব তথ্য সরবরাহের মাধ্যম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে তদন্ত কাজে সহযোগিতা করতে দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটর ও ইন্টারনেট সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, তদন্তের প্রয়োজনে মোবাইল অপারেটরগুলোও চাহিদা মোতাবেক ডাটা সরবরাহ করবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি’২৫) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) কাছে থাকা জুলাই-অগাস্টে অভ্যুত্থানের সব তথ্য অক্ষুণ্ণ অবস্থায় সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন একই আদালত।

দুপুরে নিজ কার্যালয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আদেশ ছাড়াই যেকোনো ব্যক্তি, কর্তৃপক্ষকে ডাকতে ও যে কোনো ডকুমেন্ট চাওয়ার আইনি এখতিয়ার রাখে।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের এই তথ্যগুলোর ব্যাপারে তাদের ইনভেস্টিগেশন করে তারপর অ্যানালাইস করা তাদের নেটওয়ার্ক সিস্টেম ডিভাইস, আইটি লগ, সিস লগ এবং অন্যান্য ডিজিটাল ফুটপ্রিন্টসের ব্যাপারে যেন তদন্ত কাজে সাহায্য করেন সে ব্যাপারে তাদের একটা নির্দেশনা দিয়েছেন।’

“ডিজিটাল এভিডেন্সগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণে ডিজিটাল এভিডেন্সগুলো যাতে ডিলিট না হয় এবং এ ব্যাপারে আমাদের ফরেনসিক করার জন্য, তদন্ত করার জন্য ফ্রি একসেসটা যাতে দেয়; আইনে আমাদের সে সুযোগ আছে। তারপরও আমরা ট্রাইব্যুনালের আদেশ নিয়েছি যাতে কারও মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়”- যোগ করেন তিনি। এসময় গাজী এম এইচ তামিমসহ আরও কয়েজনজন প্রসিকিউটর উপস্থিত ছিলেন।

এ দিন আদালতে গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন মীর মুগ্ধ ও ২০১৩ সালে র‌্যাবের হাতে নিহত জামায়াত নেতা ডা. ফয়েজের পরিবার।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন জুলাইয়ে তীব্র আকার ধারণ করে। পরে তা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার তুমুল সেই আন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে এ আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

পরে জুলাই-আগস্টের সরকার পতন আন্দোলনের প্রাণহানির ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনালে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সৌজন্যে: ডিজিবাংলা  

(সাইবারবার্তা.কম/১৮জানুয়ারি২০২৫/১৫৩৬) 

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ