বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫ ২০২৫ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল | ৫ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

টার্নিটিন সফটওয়্যার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত ইউজিসির

সাইবারবার্তা ডেস্ক: গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে এবার অ্যান্টি প্লাজিয়ারিজম সফটওয়্যার ‘টার্নিটিন’ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। রোববার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত প্লাজিয়ারিজম চেকার ওয়েব সার্ভিস ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

 

ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহম্মেদ চৌধুরী ও ড. জাবেদ আহমেদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মশিউল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সায়েদুর রহমান, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামিম আল মামুন, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ’র অধ্যাপক ড. সৈয়দ আক্তার হোসেন, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউজিসি’র রিসার্স সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন ও আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাকসুদুর রহমান ভূইয়া যুক্ত ছিলেন।

 

 

সভায় গবেষণাপত্রে চৌর্যবৃত্তি মোকাবিলায় শিগগির টার্নিটিন সফটওয়্যার ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উল্লেখ করা হয় টার্নিটিন সফটওয়্যার আইথেনটিক্যাট অংশ গবেষক এবং শিক্ষকদের গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি এবং ফিডব্যাক স্টুডিও দিয়ে শিক্ষার্থীদের থিসিস চৌর্যবৃত্তি বিষয়টি নির্ধারণ করা যাবে। এ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. আবু তাহের বলেন, প্রাথমিকভাবে ৩০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই সফটওয়্যারের সেবা সরবরাহ করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে এর ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এই সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে গবেষণার সত্ত্ব সংরক্ষণ ও মৌলিকত্ব নিশ্চিত করা সহজ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক—শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের গবেষণা কার্যক্রমের গুণগতমান সংরক্ষণ ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই সফটওয়্যার।

 

 

এ বিষয়ে প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গবেষণাক্ষেত্রে চৌর্যবৃত্তির ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সংক্রান্ত নীতিমালা না থাকায় গবেষণা কার্যক্রমে চৌর্যবৃত্তির বিষয়টি সংজ্ঞায়িত করা যাচ্ছে না। তাই চৌর্যবৃত্তি শনাক্ত করতে একটি নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। টার্নিটিন সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য দ্রুত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারের জন্য এ সফটওয়্যারের একটি রোডম্যাপ করা হবে। বর্তমানে ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব উদ্যোগে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। টার্নিটিন সফটওয়্যার এর সর্বশেষ অবস্থা জানতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে চিঠি দেওয়া হবে। এর ফলে এই সফটওয়্যার ব্যবহারের একটি চিত্র পাওয়া যাবে।

 

(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/৩১ মে ২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ