Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the wordpress-seo domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/cyberbar42/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the soledad domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/cyberbar42/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
আসছে ওয়ালটনের ইলেকট্রিক বাইক, প্রতি কিমিতে খরচ ১০-১৫ পয়সা - CyberBarta.com
  রবিবার, ডিসেম্বর ২২ ২০২৪ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল | ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

আসছে ওয়ালটনের ইলেকট্রিক বাইক, প্রতি কিমিতে খরচ ১০-১৫ পয়সা

সাইবারবার্তা ডেস্ক:আসছে ওয়ালটনের ইলেকট্রিক বাইক, প্রতি কিমিতে খরচ ১০-১৫ পয়সা।স্থানীয় গ্রাহকদের জন্য একের পর এক অত্যাধুনিক পণ্য নিয়ে আসছে দেশের শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ওয়ালটন গ্রপের এই অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের আসন্ন নতুন পণ্যের তালিকায় প্রথম সারিতেই রয়েছে ইলেকট্রিক বাইক বা স্কুটার।  

 

 

এই বাইক ব্যবহার করে প্রতি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে খরচ হবে মাত্র ১০-১৫ পয়সা। ইতোমধ্যে ওয়ালটনের ই-বাইক নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গিয়েছে।অধীর আগ্রহে তারা বাইকটির বাজারে আসার অপেক্ষা করছেন।

 

 

ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, নতুন এই ক্যাটাগরির পণ্যের ব্র্যান্ডের নাম তাকিওন, যা ওয়ালটনের লোগো সম্বলিত হলেও তাকিওন নামেই বাজারজাত করা হবে। প্রাথমিকভাবে দুই মডেলের ইলেকট্রিক বাইক বাজারে ছাড়বে ওয়ালটন। এগুলোর নাম তাকিওন ১.০০ এবং তাকিওন ১.২০। এখনো বাইক দুটির দাম নির্ধারণ করেনি ওয়ালটন। তবে দেশীয় ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী সাশ্রয়ী মূল্যে ই-বাইক বাজারজাত করা হবে।

 

 

তাকিওন ইলেকট্রিক বাইকের প্রোডাক্ট ম্যানেজার কায়কোবাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আকর্ষণীয় ডিজাইনের তাকিওন ১.০০ মডেলের ই-বাইকে রয়েছে শক্তিশালী ১.২ কিলোওয়াট হাব মোটর। এতে ব্যবহৃত হয়েছে নতুন প্রযুক্তির গ্রাফিন লেড এসিড ব্যাটারি।একবার ফুল চার্জে এই বাইকটি ৬০-৭০ কিলোমিটার যেতে পারবে। এর গতিবেগ হবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার।অপরদিকে, তাকিওন ১.২০ মডেলে ব্যবহৃত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ মোটর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বশ’র মোটর। এর পোর্টেবল লিথিয়াম ব্যাটারির ওজন মাত্র ৯ কেজি। ফলে এটি খুব সহজেই বহনযোগ্য।

 

 

বাইকটি এক চার্জে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবে। এর গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৫ কিলোমিটার।  তাকিওন ইলেকট্রিক বাইকে রয়েছে পোর্টেবল চার্জার। গৃহে ব্যবহৃত ২২০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন থেকেই বাইকে চার্জ দেওয়া যাবে। এই বাইকের পারফরমেন্স প্রচলিত ১০০ সিসি বাইকের সমতুল্য। উভয় মডেলে ব্যবহৃত হয়েছে ডুয়াল হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক, টিউবলেস টায়ার, এলসিডি স্পিডোমিটার ও এলইডি লাইটিং ইত্যাদি।

 

 

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের মতে, দেশের জনসাধারণের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করতে বাইকের বিকল্প নেই। বিশেষত শহরাঞ্চলে অধিক ট্রাফিকের কারণে তরুণ ব্যবহারকারীদের প্রথম পছন্দ দ্বিচক্রযান বা বাইক। তবে অতিরিক্ত খরচের জন্য অনেকেই প্রচলিত পেট্রোলচালিত বাইক কিনতে এবং নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন না। তাই গ্রাহকদের কাছে স্বল্পমূল্যে মোটরযান পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই প্রকল্পের সূচনা।  

 

 

তাকিওন ই-বাইক একবার রিচার্জ করে ৫০-৬০ কিমি. যাতায়াত করা যাবে। বর্তমানে এক লিটার অকটেনের বাজারমূল্য ৮৯ টাকা। যা দিয়ে একটি ১০০ সিসি বাইক সর্বোচ্চ ৫০-৬০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে।  অন্যদিকে, তাকিওন ই-বাইকে সমপরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করতে খরচ পড়বে মাত্র ৭-৮ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কিলোমিটারে খরচ হবে মাত্র ১০-১৫ পয়সা। এছাড়াও প্রচলিত পেট্রেলচালিত বাইকের মতো তাকিওন ই-বাইকের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ খরচও প্রয়োজন হবে না। সাশ্রয়ী ও তেলের বিকল্প হিসেবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করায় পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব মুক্ত। ফলে এই মোটরযান অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব।

 

 

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে ইলেকট্রিক যানের জনপ্রিয়তা এখনও তেমন উচ্চ পর্যায়ে না পৌঁছালেও উন্নত দেশগুলোতে টেসলাসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক যানবাহনের জনপ্রিয়তা অনেক। আমাদের দেশে অবকাঠামোগত ব্যবস্থাপনা না থাকায়, ইলেকট্রিক যানবাহনে কেউ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার চিন্তা করতে পারেন না। তাকিওনের মাধ্যমে আমরা দেশীয় গ্রাহকদের ইলেকট্রিক যানবাহনে অভ্যস্ত করে তোলার উদ্দ্যোগ নিয়েছি। ভবিষ্যতে দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্রততম সময়ে ব্যাটারি চার্জের জন্য ফাস্ট চার্জিং স্টেশন স্থাপন করার পরিকল্পনা আছে। ‘

 

 

সৌজ‌ন্যে: বিডি প্রতিদিন

 

 

(সাইবারবার্তা.কম/এন‌টি/আইআই ২ ই মে ২০২১)

 

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ