শনিবার, জুন ৭ ২০২৫ | ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল | ১০ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

গুচ্ছ পদ্ধতি-পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৭ দাবিতে কুবিতে মানববন্ধন 

:: জাভেদ রায়হান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ::

সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি এবং পোষ্য কোটা বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের দুইটি পক্ষ। রবিবার (৫ জানুয়ারি’২৫) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে পৃথকভাবে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে দাবিগুলো জানায় দুইটি পক্ষ। এরপর দুটি পক্ষের সাথেই আলোচনায় বসেন উপাচার্য।

প্রশাসনিক ভবনের সামনে এবং গোলচত্ত্বরে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে সাতটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বের হওয়া, পোষ্য কোটা বাতিল করা, দ্রুত ছাত্রসংসদ কার্যকর করা, ভর্তি আবেদন ফি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা, অল্প সময়ে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করা, ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরগুলোতে নেওয়া এবং ডোপ টেস্টের মাধ্যমে হলের আসন বণ্টন করা।

এসময় মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. পাবেল রানা বলেন, ‘আমরা কিছুদিন আগে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলাম যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যেন গুচ্ছ পদ্ধতিতে না থাকে এবং পোষ্য কোটা অবশ্যই বাতিল করে। আমাদের ২৪ এর যে অভ্যুত্থান ছিল তা ছিল মূলত কোটা প্রথার বিরুদ্ধে এবং তা পরবর্তীতে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে গিয়েছিল। যেহেতু কোটা বাতিল ছিল তাই কোনো ধরনের কোটা এই ক্যাম্পাসে থাকবে না। আমরা চাই যে এই কুবি ক্যাম্পাস পোষ্য কোটামুক্ত হবে। আমরা কোটার জন্য জীবন দিয়েছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আবির বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ববিদ্যায়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকবে, নাকি থাকবে না সেটা পরিস্কার করে বলা এবং যেকোনো সিদ্ধান্ত অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নেওয়া।’

অবস্থান কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া নিয়ে  উপাচার্য তাদের সাথে আলোচনায় বসেন।

আলোচনায় স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী বলেন, ‘আমি নিজেও চাই না গুচ্ছে থাকতে। আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় চারটি চিঠি পাঠিয়েছে। প্রাথমিক সিদ্ধান্তের পরেও আমি মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি, একাডেমিক কাউন্সিলে মিটিং করব। সেখানেই গুচ্ছের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

পোষ্য কোটা বাতিলের বিষয়ে তিনি জানান, ‘এটা সাধারণ সিটের অন্তর্ভুক্ত না। সাধারণ সিটের বাইরে অতিরিক্ত হিসেবে প্রতিটি বিভাগে দুইটি করে পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। তারপরেও এ বিষয়ে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নেব।’

উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী জানান, কুবি গুচ্ছ পদ্ধতিতেই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিবে। পরবর্তীতে ৪ জানুয়ারি দ্রুত গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে এবং পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা।

(সাইবারবার্তা.কম/০৫জানুয়ারি’২৫/১৮১৯)  

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ