Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the wordpress-seo domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/cyberbar42/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the soledad domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/cyberbar42/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
মানদণ্ডে দ্বিগুণ হলো ‘ব্রডব্যান্ড’ গতি, মোবাইলে ৫জি বাস্তবায়নের পর - CyberBarta.com
  শুক্রবার, নভেম্বর ২২ ২০২৪ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মানদণ্ডে দ্বিগুণ হলো ‘ব্রডব্যান্ড’ গতি, মোবাইলে ৫জি বাস্তবায়নের পর

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: প্রায় এক যুগ পরে নীতিমালা হালনাগাদ করে প্রণীত হয়েছে জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা ২০২৩-এর খসড়া নীতিমালা। সেখানে প্রতি সেকেন্ড ব্রডব্যান্ডে ২০ মেগাবিটস। আর এখনো চূড়ান্ত না হলেও লাইসেন্স গাইড লাইন অনুযায়ী, ফোর-জি মোবাইল ইন্টারনেটে ন্যূনতম গতি ১৫ এমবিপিএস নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

এরই মধ্যে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ব্রডব্যান্ডের নতুন গতি ও সংজ্ঞা অনুমোদন দিয়েছে। তবে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি নির্ধারণ করা না হলেও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৪জি গাইডলাইন অনুযায়ী মোবাইল ইন্টারনেটের ন্যূনতম গতি ১৫ এমবিপিএস নিশ্চিত করার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিবাংলা-কে বলেন, মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে কেনো মানদণ্ড বেধে দেয়া হয়নি। মোবাইলের ক্ষেত্রে ডেটা প্রাইস, স্পিড আমরা কন্ট্রোল করি না। নিঃসন্দেহে এর প্রয়োজন আছে। অবশ্য এটা আপেক্ষিক। আর যেহেতু সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করে মূল্যায়ণ করতে হবে; তাই ৫জি চালুর পর আমরা মোবাইলেও ইন্টারনেটের সেবার মূল্য ও গতির মানদণ্ড ঠিক করে দিবো।

 

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি দ্বিগুণ করার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এখন বাস্তবতায় ব্রডব্যান্ডের গতি হবে ২০ এমবিপিএস বা তার চেয়ে বেশি।

গতি দ্বিগুণ করা এবং এক দেশ এক রেটে এর প্রভাব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশে এখন যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয় তাতে করে ব্রডব্যান্ডের গতি ১০ এমবিপিএস থাকা উচিত নয়। ফলে এটি বাড়ানো হয়েছে। তাই এখন ইন্টারনেট সেবাদাতার ২০ এমবিপিএস বা তার অধিক ট্যারিফপ্লানকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বলছেন। আর গ্রাহকের চাহিদা ও সাধ্যের কথা মাথায় রেখে আমরা যে এক দেশ এক রেট করেছি, তা সর্বোচ্চ ৫ জনের মধ্যে ভাগ করে দেয়া ইন্টারনেট। ফলে ৫ এমবিপিএস বা ১০ এমবিপিএস-কে ব্রডব্যান্ড বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার কোনো অবকাশ নেই।

 

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক নতুন মানদণ্ডকে স্বাগত জানিয়ে বাস্তবায়নে ট্রান্সমিশনের পথে যে বাধাগুলো রয়েছে তা দূর করতে বিটিআরসি প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নতুন গাইড লাইনে ‘মানদণ্ড উন্নয়ন’ বাস্তবসম্মত উল্লেখ করে ডিজিবাংলাকে তিনি বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইথ আছে। মান সম্মত সেবা দেয়ারও সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। তাই এখন ট্রান্সমিশনে সহায়তা পেলে এক বছরের মধ্যে নতুন মানদণ্ড বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

 

সূত্রমতে, ট্রান্সমিশনের খরচ অনেক বেশি হওয়ায় দেশজুড়ে সেবা দিচ্ছে এমন আইএসপিগুলো এখনো ইউনিয়ন পর্যায়ে তাদের সেবা পৌঁছে দিতে পারেনি। তবে দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ৩০ শতাংশে এবং ২০২৩ সালের মধ্যে ৬০ শতাংশে উন্নীত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আইএসপি সেবাদাতারা।

 

সূত্রমতে, লাইসেন্স গাইড লাইন অনুযায়ী মোবাইল ইন্টারনেটের ন্যুনতম গতি ৭ এমবিপিএস থাকার কথা। আর ফোরজি’র ক্ষেত্রে এই গতি ১৫ এমবিপিএস-এ উন্নীত করতে একটি কমিটি গঠন করেছে বিটিআরসি। ওই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরে বিটিআরসি ইন্টারনেটের গতির নতুন মানদণ্ডের আনুষ্ঠানিক আদেশ দেবে।

 

প্রসঙ্গত, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতত্বে গত ১২ অক্টোবর এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বিটিআরসির প্রতিনিধি এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় উপস্থিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মানদণ্ড হালনাগাদ করার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। যদিও বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ইন্টারনেটের স্বল্প গতির ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করে বর্তমান গতিকে ১০ এমবিপিএসকে ৩০ এমবিপিএসে উন্নীত করার বিষয়ে মত ব্যক্ত করেছিলেন। সে সময় বৈঠক থেকে তাকে জানানো হয়, জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা ২০২১ প্রণয়নের ব্যাপারে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে। পরবর্তী সময়ে বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা ২০ এমবিপিএস করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।

 

এর আগে ২০১৮ সালে বিটিআরসি ব্রডব্যান্ডের ন্যূনতম গতির মানদণ্ড ৫ এমবিপিএস থেকে বাড়িয়ে ১০ এমবিপিএস করে। আর ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে ৬ বার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি পরিবর্তন হয়েছে। ২০০৮ সালে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মানদণ্ড ছিলো ১২৮ কেবিপিএস। এরপর ২০১১ সালে ৫১২ কেবিপিএস, ২০১৩ সালে ১ এমবিপিএস, ২০১৫ সালে ২ এমবিপিএস, ২০১৬ সালে ৫ এমবিপিএস এবং ২০১৮ সালে ১০ এমবিপিএস গতি নির্ধারণ করে ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা ঠিক করা হয়।

সময়ের সঙ্গে ইন্টারনেটের গতির মানদণ্ড হালনাগাদ করণের মাধ্যমে প্রস্তাবিত নীতিমালায় ২০২৩ সালের স্বল্প মেয়াদি লক্ষ্যে ৩০ এমবিপিএস, ২০৩১ সালের মধ্য মেয়াদি লক্ষ্যে ২ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) এবং ২০৪১ সালের দীর্ঘ মেয়াদি লক্ষ্যমাত্রায় ব্রডব্যান্ডের গতি ১০ জিবিপিএস নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/২৪ নভেম্বর  ২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ