নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: বিশ্বের সবখানে এখনও চালু হয়নি ৫জি সংযোগ সেবা। এর মধ্যেই ৬জি প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছে কোয়ালকম, অ্যাপল, গুগল ও এলজির মতো বাজারের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। ৬জি নিয়ে গবেষণা ও পরিকল্পনায় বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে ৫জি’র নানা ‘সীমাবদ্ধতা’।
৬জি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট বলছে, ৬জি প্রযুক্তি নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বর্তমান ৫জি প্রযুক্তির প্রয়োগ ও কর্মক্ষমতা।
শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো ৬জি ওয়্যারলেস প্রযুক্তিকে চিন্তা করছে এমন একটি সর্বব্যাপী সংযোগ ব্যবস্থা হিসেবে যে নেটওয়ার্ক কাভারেজ আর ব্যান্ডউইথ নিয়ে একদমই ভাবতে হবে না ব্যবহারকারীকে। আর এই লক্ষ্যের ব্যাপ্তি এতোটাই যে ৫জি প্রযুক্তি এর আংশিক অর্জন করা শুরু করেছে কেবল।
এই প্রসঙ্গে একাধিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীর সঙ্গে আলাপের ভিত্তিতে সিনেটের বার্তা প্রধান রজার চেং বলেন, “৫জি’র মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন যে সেন্সরগুলো সংযোগ পাবে বলে আমরা আশা করছি, সেগুলো ৬জি প্রযুক্তিতে আরও বেশি কর্মক্ষমতা পাবে এবং ব্যবহারকারীর জীবন সহজ করতে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে কাজ করবে”।
সিনেট জানিয়েছে, ৬জি প্রযুক্তির পরিকল্পনা করা হচ্ছে এমনভাবে যেন যে কোনো পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ ও কাভারেজ পাওয়া যায়। বাসা-বাড়িতে আইএসপি সেবার ক্ষেত্রে যতো বেশি ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন হোক না কেন, অথবা ভবিষ্যতের স্মার্ট পোশাকে তাপমাত্রা মাপতে যতো অল্প ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন হোক না কেন, সবক্ষেত্রে যেন প্রয়োজন অনুযায়ী ও কার্যকর সংযোগ সুবিধা পাওয়া, সেই বিষয়টি আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে ৬জি’র নির্মাণ চিন্তায়।
কাভারেজের ক্ষেত্রেও ৬জি প্রযুক্তি ৫জি’র সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিনেট বলেছে, বড় এলাকায় গ্রহণযোগ্য ব্যান্ডউইথ দিতে পারে ৫জি সেবা, তুলনামূলক ছোট এলাকায় বেড়ে যায় ব্যান্ডউইথের পরিমাণ। কিন্তু এই দুই পরিস্থিতির মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করার ক্ষেত্রেই পরিলক্ষিত হয় বর্তমান ৫জি প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা।
সরবরাহ যথেষ্ট হলে, সেবার পরিধি কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে– এমন প্রশ্নের ক্ষেত্রেই পুরো প্রযুক্তিটি কৌতুহল উদ্দীপক বলে মন্তব্য করেছেন চেং। কাভারেজ আর ব্যান্ডউইথের মধ্যে সামঞ্জস্য আনা ৬জি প্রযুক্তির অন্যতম লক্ষ্য হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে ৬জি প্রযুক্তি এখনও পরিকল্পনা ও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে; তাই এখনই কেউ ৬জি প্রযুক্তি পন্য বানিয়ে ফেলার দাবি করলে তাতে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চেং।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/৭ সেপ্টেম্বর ২০২১)