নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: চাঁদপুর-লাকসাম রেললাইনে বসে স্মার্টফোনে অ্যাপের মাধ্যমে ফ্রি ফায়ার গেমসকে জুয়া হিসেবে বাজি ধরে গেমস খেলায় মগ্ন থাকতে দেখা যায় স্কুল-কলেজের কতিপয় কিশোর-তরুণদের। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও পরিবেশ নষ্টসহ শিক্ষার্থীরা এ খেলার নেশায় নিজেদের মূল দায়িত্ব পড়াশোনা খেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
সচেতনমহল বলছেন, এখন হয়তো ট্রেন চলাচল করছে না এ লাইনে। তাই তাদের নিরাপত্তার ও দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই। তবে এই অভ্যাসটি যদি তাদের মধ্যে থেকে যায়, তবে যেকোনো সময় তারা তাদের জীবন হারানোর শত ভাগ নিশ্চয়তা নিজেরাই নিজ থেকে সৃষ্টি করছে। এছাড়া বাজি ধরে গেমস খেলায় মগ্ন হয়ে তাদের আর পড়াশোনায় মন না বসার সম্ভাবনা রয়েছে।
রেললাইনের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, অবসর সময় কাটাতে এবং নগদ অর্থ উপার্জনের আশায় কিশোর-তরুণরা এ গেমস খেলায় ঝুকে পড়ছে। দেখা গেল চাঁদপুর শহরের মিশন রোড হতে শুরু করে আশাপাশে রেললাইনের ওপরে বসে স্মার্টফোনে বাজি ধরে গেম খেলায় মগ্ন শিক্ষার্থী কিশোর-তরুণরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা গেমস খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকছে। তাদের এখন এটাই নিত্যদিনে তালিকার একটি অংশ। তারা নাওয়া খাওয়ার ছেড়ে এ কাজেই সময় দিচ্ছে বেশি সময়।
শহরের হাজি মহাসিন রোডের রেললাইন থেকে শুরু করে মৈশাদী রেলক্রসিং, শাহাতলী, মধুরোধসহ প্রায় জায়গায়ই দেখা যায়, রেললাইনে বসে শহর ও শহরতরীর বিভিন্ন এলাকার ছেলেরা এসে ফ্রি ফায়ার গেমস খেলে। অনেক সময় তাদের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে এক পর্যায়ে মারামারিও হচ্ছে।
তরুণদের এ আসক্তিকে শিক্ষার জন্য বড় বিপর্যয় বলে মনে করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এ জন্য অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় সচেতনমহল। অসিত বরন বাপ্পি নামে এক তরুণ জানান, গত চার-পাঁচ মাসে তিনি এর পেছনে আট হাজার টাকার মতো খরচ করেছেন। বাসায় ওয়াইফাই লাইন আছে। রাত ১০টা থেকে খেলা শুরু করে ভোর পর্যন্ত খেলেন তিনি।
বাপ্পি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর মোবাইলে গেমস খেলতে না পারলে বোধ হয় জীবনই বাঁচবে না মনে হয়। তবে এতে আমরা যারা এই খেলা নিয়মিত খেলি তাদের চোখের সমস্যা হচ্ছে।’ দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর সে এই খেলা শুরু করে সময় পার করছে। প্রতি মাসে এ গেমস খেলার পেছনে তার দুই হাজার টাকা অর্থ ব্যয় হয়।সৌজন্যে:ঢাকা টাইমস
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/১২ জুলাই ২০২১)