সাইবারবার্তা ডেস্ক: পাবনার চাটমোহরে স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করার অভিযোগে সাজেদুল ইসলাম (৩৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া ধর্ষণে সহযোগিতার জন্য সাজেদুলের নারী সহযোগী হিসেবে পৌর শহরের আমির হোসেনের স্ত্রী সাহেদা খাতুনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের গোপালপুর থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছর তিনেক আগে অভিযুক্ত সাজেদুল ইসলামের সঙ্গে পাশের বড়াইগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বুধবার সকালে বেড়ানোর কথা বলে পৌর শহরের চৌধুরীপাড়া মহল্লায় সাহেদা খাতুনের (সাজেদুলের পরিচিত) বাড়িতে ওই স্কুলছাত্রীকে নিয়ে আসে সাজেদুল।
পরে তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয় এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। এ কাজে সহযোগিতা করেন সাহেদা খাতুন। এরপর ওই স্কুলছাত্রী বিয়ের কথা বললে অস্বীকৃতি জানিয়ে এবং মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেয় সাজেদুল। ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী বাড়ি ফিরে ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায়।
বুধবার বিকালে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্ণোগ্রাফি আইনে সাজেদুল এবং তার সহযোগী সাহেদাকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনার ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করার পর অভিযুক্ত দুই আসামিকে আটক করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/১৭ জুন ২০২১)