সাইবারবার্তা ডেস্ক: ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটে গত অর্থ বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বরাদ্দ বাড়লেও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণকে আইটিইএস সেবায় অন্তর্ভূক্ত না করা, ডিজিটাল লেনদেনের আয়ের ওপর কর বৃদ্ধি করায় হতাশ হয়েছে বেসিস। একইসঙ্গে বাজেট বরাদ্দে বেসরকারি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাপ্য অংশ স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি বাজার সৃষ্টি এবং সরকারের ডিজিটাইজেশনে বাজেটে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা চেয়েছেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির।
শনিবার বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় লিখিত বক্তব্যে এসব দাবি তুলে ধরেন তিনি। এসময় সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সহযোগী হিসেবে আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা চেয়েছে সংগঠনটি। ভার্চুয়াল এই সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক টেন্ডারের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে CPTU কর্তৃক ২০১৮ সনের আগস্ট মাসে প্রণীত সফটওয়্যার ক্রয়ে একটি বিশেষায়িত RFP খসড়া দলিলটি আজো চূড়ান্ত না করায় সরকারি প্রতিষ্ঠান বা বাংলাদেশী সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি এর সুফল পাচ্ছে না বলে হতাশা প্রকাশ করা হয়।
সংগঠনটি আশা করছে, বেসিস এবং আইসিটি ডিভিশনের সংশোধনী প্রস্তাবনাসহ সফটওয়্যার ক্রয়ে বিশেষায়িত RFP দলিলটি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে। বেসিস সম্মেলন কেন্দ্র থেকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা এ রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট শোয়েব আহমেদ মাসুদ, মুসফিকুর রহমান এবং পরিচালক রাশাদ কবির।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সরকারকে দেশীয় প্রযুক্তি বিকাশে নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগগে সাধুবাদ জানিয়ে নিজেদের অপ্রাপ্তির কথাও তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, ঘোষিত বাজেটে সরকার প্রতিবছরের ন্যায় বিভিন্ন খাতে বিশেষত অবকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করলেও প্রকৃত অর্থে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বাজেটে উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। তাছাড়া বেসিস থেকে যেসব প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী মহোদয়সহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে দাখিল করা হয়েছিল তার যথাযথ প্রতিফলন ঘটেনি।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/৫ জুন ২০২১)