রিফাত আহমেদ, সাইবারবার্তা: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জট কমাতে অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা ৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাথে বৈঠকে বসবে বলে দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন শাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ আহমেদ।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করোনাকালীন বন্ধের ক্ষতি কাটয়ে উঠতে সেমিস্টার ছোটো করা ও পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার সময় কমিয়ে আনা সহ আরো না না পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে আসন্ন সেমিস্টারগুলোকে দুই মাস কমিয়ে ৬ মাস থেকে ৪ মাসে করার নিতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর একেএম মাকসুদ কামাল।
বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ডিরেক্টর প্রফেসর মিজানুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের কিছু ব্যাবহারিক পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে এবং শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সহায়তা করতে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা সিলেবাস সহায়ক ভিডিও ধারনের কাজে নিয়োজিত আছেন।
যেখানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্দালয়গুলো গত বছর এপ্রিল থেকে অনলাইনে পাঠদান ও পরীক্ষা নিয়ে করোনাকালীন সময়েও শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে, সেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ অনলাইনে কিছু ক্লাস করতে পারলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়নি কেউই। যার ফলে প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রায় ১ বছরের ও ক্ষেত্রবিশেষে তারও বেশি ব্যাবধানের সৃষ্টি হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের ছাত্র ওয়াহিদুজ্জামান সাব্বির জানান “আমাদের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা গত বছর মার্চে হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারনে তা হয়ে উঠে নি। পরবর্তীতে এবছর আরেকবার পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ হলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আবারো বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়।“
একই বিভাগের আরেক ছাত্র কাউসার আলম তানভীর সাইবার বার্তাকে জানান “আমাদের সমবয়সী এবং একই ব্যাচের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা অনার্স শেষ করে মাস্টার্স বা চাকুরীতে যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু দুবার আমাদের পরীক্ষা নেয়ার রুটিন হলেও করোনার কারনের সেই পরীক্ষা আর দেয়া হয় নি। যদি অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাবস্থা করা যেত, তবে আমরা ইতিমধ্যে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা শেষ করে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারতাম।“
করোনাকালীন সময়ে পিছিয়ে পড়া স্কুল, কলেজ ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ ধাক্কা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো সেশন জট কমানোর কোনো সুরাহা করতে পারেনি। তাই ছাত্র-শিক্ষক সকলেই ৪ মে তে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাথে উপাচার্যদের বৈঠক নিয়ে আশাবাদী।
(সাইবারবার্তা.কম/জেডআই/৩০ এপ্রিল ২০২১)