রেজওয়ানুল ইসলাম, সাইবার বার্তা: অসামাজিক আচরণ ও গালিগালাজ ছড়ানোর অভিযোগ তুলে ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ বয়কটের ডাক উঠেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন সরগরম। সম্প্রীতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী আনিছ তার ফেসবুকে ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক বয়কটের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে যে পত্রিকা ও রিপোর্টার এই নাটকের প্রচারে কাজ করবেন তাদেরও বয়কট করতে বলেছেন তিনি।
কাজল আরিফিন অমি পরিচালিত বহুল আলোচিত টিভি সিরিয়াল ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট। ২০১৯ সালের শেষের দিকে সিরিয়ালটির প্রথম সিজনের সম্প্রচার শুরু হয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনে। পাশাপাশি এটি মুক্তি পেয়েছে একটি ইউটিউব চ্যানেলে। দর্শক চাহিদা মাথায় রেখে নির্মিত হয় সিরিয়ালটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় সিজন। সদ্য সমাপ্ত ধারাবাহিক ব্যাচেলর পয়েন্টের সিজন থ্রির শেষ পর্ব সপ্তাহ খানেক আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুবি শিক্ষক কাজী আনিছ বুধবার (২১ এপ্রিল) নিজ ফেসবুক পোস্টে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের প্রসঙ্গে লিখতে গিয়ে বলেন, “চিন্তা করছি, যারা ব্যাচেলর পয়েন্টকে সমর্থন করবেন, তাদেরকেও আমি ব্যাচেলর পয়েন্ট এর ভাষায় রিপ্লাই দেবো, ‘এভাবে ভোদাই মার্কা কমেন্ট করবেন না, ‘এটা একটা বাটপারি কমেন্ট। ‘আপনি ভাই আমার যুক্তিতে মুইত্তা দেন সমস্যা নাই। কিন্তু আমি আমার কথা বলবো।”
ফেসবুকর আরেকটি পোস্টে কাজী আনিছ ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের অশ্লীলতার কথা উল্লেখ করে লেখেন, “মুইত্তা দিমু’…কাবিলা বলে এই কথা। কিন্তু সেখানে টুট টুট করা হয়। টুট টুট দিয়ে আপনি ভাষাটা না হয় মিউট করলেন। কিন্তু প্যান্টের চেইনে হাত দিয়ে যে ভঙ্গী, তা তো আর মিউট করা যায়নি, এখন আপনার বাচ্চাও যদি এভাবে ভঙ্গী করে ‘টুট’, টুট’ করে! বাচ্চাদের দেখা উচিত না।”
তিনি লিখেছেন, “প্রযুক্তির এ যুগে এ কথা বলে নিজেরর আহাম্মকির পরিচয় দেবেন না। কয়েক ভাই বেরাদর নাকি অশ্লীলতা পাননি। মজা পেয়েছেন। আশা করি, তারা নিজ সন্তান বা ছোট ভাইজতা ভাগনির সামনে দিব্যি নাটকটি দেখতে পারবেন। আমরা অনেকেই পারি না। মজাও বেশি নাই।”
উল্লেখ্য, এর আগেও তরুণ নির্মাতা শাহাদাত রাসেল ব্যাচেলর পয়েন্ট ধারাবাহিকের দর্শকদের রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছেন, যে ‘ভাদাইম্মার সাত বউ’ এবং ‘হিরো আলমের ভিডিও’র চাইতে ব্যাচেলর পয়েন্ট টেকনিক্যালি আধুনিক ও রিচ। ব্যাস এটাই একমাত্র তফাৎ । স্ক্রিপ্ট ও ফিলোসফিটা একই। ব্যাচেলর পয়েন্ট হচ্ছে বাঙালির রুচির যে দুর্ভিক্ষ চলছে তার ব্যারোমিটার।
(সাইবারবার্তা.কম/আরআই/এমএ/২১ এপ্রিল,২০২১)