সাইবাবার্তা ডেস্ক:এশিয়ার ২২ দেশের সেরা ৩০০ তরুণ উদ্যোক্তার তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের ৯ তরুণ। সফল এই নয় তরুণের মধ্যে ৬ জনই দিয়েছেন ডিজিটাল সল্যুশন। ব্যবসা প্রযুক্তি, সামাজিক প্রভাব এবং প্রথমবারের মতো চালু রিটেইল ও ই-কমার্স ক্যাটাগরিতে এশিয়ার সেরা তরুণদের কাতারে উঠে এসেছেন তারা।
এদের মধ্যে গেজ প্রতিষ্ঠাতা শেহজাদ নূর তাওস প্রিয় (২৪) ও মোতাসিম বীর রহমান (২৬) স্টার্টআপ গেজ গত কয়েক বছর ধরেই আলোচনায় রয়েছেন। তাতেদর স্পুফ-প্রুফ ফেস রেকগনিশন, ওসিআর, অবজেক্ট এর ভিজ্যুয়াল রিকগনিশনের জন্য এপিআই তৈরি করেছে।
আর নবীন উদ্যোক্তা মীর সাকিবের (২৮) ক্র্যামস্ট্যাক প্রাকৃতিক ভাষা-চালিত অনুসন্ধান ইন্টারফেসের সাথে বাণিজ্যিক ডেটা বিশ্লেষণ এবং কল্পনা করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও হাইড্রোকোপ্লাসের রিজভানা হৃদিতা (২৮) ও জাহিন রোহান রাজীন (২২) দিয়েছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে পানি ব্যবস্থাপনা সমাধান। সেই সল্যুশনটি গুণমান সম্পর্কে রিপোর্ট করে; লিকেজ সনাক্ত করে এবং ব্যবহারের ভিত্তিতে চাহিদার পূর্বাভাস সরবরাহ করে।
এই তালিকায় স্থান পাওয়া মোরিন তালুকদার (২৭) বহুল পরিচিত ই-কমার্স প্লাটফর্ম পিকাবুর সহপ্রতিষ্ঠাতা। তার কিস্তি সুবিধায় অনলাইনে বায়নার দিনেই পণ্য ডেলিভারি সেবাটি বেশ নজর কেড়েছে।
ফোর্বস তালিকায় বাংলাদেশী ৯ তরুণের বাকি ৬ জনই পরিচালনা করেন এনজিও। এর একটি অ্যাওয়ারনেস থ্রিসিক্সটি। এর প্রতিষ্ঠাতারা হলে শোমী হাসান চৌধুরী (২৬) ও রিজভী আরেফিন (২৬)। আর অন্যজন হলেন অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের আহমেদ ইমতিয়াজ জামি (২৭)।
প্রসঙ্গত, ত্রিশ বছরের কম বয়সী যে তরুণেরা উদ্ভাবনী ধারণা আর উদ্যোগের মধ্য দিয়ে এশিয়ার দেশগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছেন, তাদের নিয়ে ২০১১ সাল থেকে এ তালিকা প্রকাশ করছে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস। সোমবার প্রকাশিত ২০২১ সালের ‘থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া’ তালিকায় থাকা বাংলাদেশের নয় উদ্যোক্তা ছয়টি উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন।
গত বছর এই তালিকায় ছিলেন বাংলাদেশের রাবা খান ও ইশরাত করিম। সর্বশেষ চার বছরে মোট নয় বাংলাদেশি তরুণ এ তালিকায় জায়গা করে নেন।
এবারের তালিকা নিয়ে ফোর্বস বলেছে, মহামারীর মধ্যেও থেমে নেই উদ্যোগ ও উদ্যম। মহামারীর দিন শেষে নতুন দিনের প্রত্যাশায় ‘নিও নরমালের’ এ সময়ে তালিকার স্থান পাওয়া উদ্যোক্তা, বিজ্ঞানী, অ্যাকটিভিস্ট ও তরুণ নেতারা কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত রেখেছেন।
ফোর্বস জানিয়েছে, এবারের নির্বাচিতদের মধ্যে ১৭টি স্টার্টআপ দেড় কোটি ডলার তহবিল পেয়েছে ইতোমধ্যে। ভারতের ফিনটেক উদ্যোগ রাজোরপে সম্ভাবনাময় প্রকল্প হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, যেটির মূল্যমান নির্ধারণ হয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলার।
তালিকার ভূমিকায় সাময়িকীটি বলেছে, এই প্রজন্মের সবচেয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে এই ৩০০ উদ্যোক্তা নিজেরা টিকে ছিলেন এবং দীর্ঘ লকডাউনের মধ্যে অনেকটা সফলভাবে এগিয়েছেন। সব ধরনের প্রতিকূলতা ও মহামারীর অনিশ্চয়তার মধ্যেও পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে উদ্যোগ ও ব্যবসা এগিয়ে নিয়েছে তারা।
সৌজন্য :ডিজি আই বাংলা .টেক
(সাইবারবার্তা .কম/এমআর/কম/আইআই ২১ এপ্রিল,২০২১)