বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫ ২০২৫ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল | ৫ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

দেশের প্রথম ডিজিটাল হাসপাতালের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: ৭০০ শয্যাবিশিষ্ট দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি সোমবার দেশের প্রথম এই ডিজিটাল হাসপাতালটির নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।

 

পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি সভা করেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য। সেখানে তিনি সংশ্লিষ্টদের দ্রুত সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করার নিদের্শনা দেন। বিশেষ করে চলতি বছরের মহান বিজয় দিবস অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বরের আগেই এই কার্যক্রম শেষ করার জোর তাগিদ দেন। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থায়নে ও সহযোগিতায় নির্মাণ হচ্ছে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কাজ।

 

এ বিষয়ে বিএসএমএমইউর উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রয়েছে। নির্মাণাধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল দক্ষিণ কোরিয়ান সরকারের সহযোগিতার একটি অন্যন্য দৃষ্টান্ত।

 

তিনি বলেন, বর্তমানে কোরিয়ান ও বিএসএমএমইউর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরা করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট প্রাদুর্ভাব ও সংকটের মাঝেও দিনরাত পরিশ্রম করে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের গতিশীল কর্মকান্ডে মহান বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্তিতে এই হাসপাতালটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করতে পারবেন বলে আশা করছি।

 

সভায় জানানো হয় ইতোমধ্যে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের মূল ভবন দ্বিতীয়তলা বেজমেন্টসহ ১১তলা ভবনের সব ফ্লোর নির্মাণসহ কাঠামোগত (স্ট্রাকচারাল) কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে।

 

ভবনে ইটের কাজ (ব্রিক ওয়ার্ক), প্লাস্টার, ফিনিশিং ওয়ার্ক, বেস প্যানেল, টেরাকোটা প্যানেল, এলমোনিয়াম লুবার, অ্যালমোনিয়াম শিটসহ সামগ্রিক কার্যক্রম প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের ভবনের অভ্যন্তরে ফিনিশিং কাজ চলছে।

 

বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক জুলফিকার রহমান খান জানান, হাসপাতালটিতে একজন রোগী একই সেন্টার থেকে সব ধরনের সেবা নিতে পারবেন। হার্ট, কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের একই সেন্টার থেকে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব হবে। বিশ্বমানের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধ থাকবে হাসপাতালটি। রোগীদের সব রেকর্ড রাখা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।

 

পরিদর্শনকালে এবং সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) একেএম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক জুলফিকার রহমান খান, রেজিস্ট্রার এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আবু নাসার রিজভী, উপ-প্রকল্প পরিচালক সহকারী মো. নূর ই এলাহী, পরামর্শক দাতা প্রতিষ্ঠান সানজিন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অর্কিটেক্টের প্রধান কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার লি কিউং হো, ডিজাইন কো-অর্ডিনেটর কিম ডং হিউন ও ডেপুটি কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার শ্রীকান্ত রায়।

 

২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিরপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হবে একটি রোগীবান্ধব সবুজ হাসপাতাল। হসপিটাল ইনফরমেশন সেন্টার চালু করার মাধ্যমে রোগী ও হাসপাতাল পরিচালনা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধাসহ জনসাধারণ এখানে সাশ্রয়ীমূল্যে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা পাবেন।

 

এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি স্বাস্থ্য সেবার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। বিশেষ করে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি উন্নত গবেষণা ও প্রশিক্ষণের দিগন্ত প্রসারিত হবে। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটির মাধ্যমে “বিদেশ নয়, দেশেই সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা” দেয়া সম্ভব হবে। চিকিৎসাসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার, সংবিধানের এই স্বীকৃত বাণী বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

 

(সাইবারবার্তা.কম/এমএ/৫এপ্রিল২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ