নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: ছাত্র-শিক্ষকের পর এবার অভিভাবকদের জন্য বিশেষায়িত অনলাইন মঞ্চ তৈরি করতে চায় আইসিটি বিভাগ। এর মাধ্যমে অভিভাকদের ভবিষ্যতমুখী দীক্ষার ইকো সিস্টেম, সাইবার সুরক্ষা এবং ‘অন্টারপ্রেনিয়র সাপ্লাইচেইন’ সম্পর্কে সচেতন করতে পারবো।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, অনেক অভিভাবকই এখনো ‘অন্টারপ্রেনিয়র সাপ্লাইচেইন’সম্পর্কে পরিচিত নন। তারা জানেন না, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। তাই আমরা যদি তাদের সচেতন করতে ইউএনডিপি ও এটুআই-কে অনুরোধ করবো।
তিনি আরো বলেন, সরকার চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী তারুণ্য জনশক্তি গড়ে তুলতে স্কুল অব ফিউচার, অ্যাডভান্সড ডিজিটাল ল্যাব, স্পেশালাইজড ল্যাব, আইটি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার, শেখ হাসিনা আইইটি ট্রেনিং ইনকিউবেশন সেন্টার এবং শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউশন অব ফ্রন্টিয়ার টেকনলোজি প্রতিষ্ঠা করছে। এরইমধ্যে আমরা ১৬৯টি কোম্পানিকে মূলধন সহায়তা দিয়েছি এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ থেকে ৩৮ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আরো ১৫০টি স্টার্টআপ তহবিল পওয়ার তালিকায় রয়েছে। এ জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীর (ইউএনডিপি) ইয়্যুথ কো-ল্যাব ও ইয়ং বাংলা ইয়্যুথকে উদ্ভাবনী প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি বাংলাদেশের উদ্যোক্তা ইকোসিস্টেমের ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান পলক।
ইউএনডিপি, আইএসডিবি, সিটি ফউন্ডেশন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ ও লাইফ ক্যাসেল পার্টনার যৌথভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশে তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি টেকসই ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় রিসোর্স হিসেবে কাজে লাগবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
এসময় তিনি জানান, তথ্য প্রযুক্তির সবিশেষ ব্যবহার নিশ্চিত করে মানসম্মত শিক্ষাপ্রদানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে আজ প্রধানমন্ত্রী মধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে আরো ১০ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ৩৫ হাজার ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ হবে।
পলক আরো বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী আমাদের বহুপ্রতিক্ষিত ‘ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন’প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন। এর মাধ্যমে আমরা উপজেলা পর্যায়ে ৫৫৫টি ডিজিটাল সার্ভিস ইমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (ডিসেট) স্থাপন করবো। এখা থেকে তরুণ উদ্যোক্তারা সরকারি সেবা দেয়ার পাশাপাশি শিক্ষিত তরুণদের প্রশিক্ষণ দেবে যেনো তারা নিজের শহর থেকেই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে তারা ঘরে বসেই মর্যাদাপূর্ণ আয় করতে পারবেন।
ইউএনডিপি আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, ইয়্যুথ কো ল্যাব ব্যাংককের পলিসি স্পেশালিস্ট ইলি হরক, লাইফ ক্যাসেল সিইও বিজন ইসলাম, স্টার্টআপ বাংলাদেশের হেড অপ পোর্ট ফোলিও বিজনেস হাসান এ আরিফ, সিটি ফউন্ডেশনের কর্মকর্তা রাজেশ শেখারন, ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক গ্রুপের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মাহমুদ সোলাইমান অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/২৪ নভেম্বর ২০২১)