নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: কয়েক পর্যায়ে ২০৪১ সালের মধ্যে এক হাজার গ্রামকে স্মার্টফার্মিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
২৬ সেপ্টেম্বর, ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ২০ হাজার কৃষকে টার্গেট করে, সাড়ে ৩ হাজার উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য এবং ১০টি ডিজিটাল ভিলেজ স্থাপনের জন্য একটি প্রজেক্ট নিয়েছি। আমাদের ডেডলাইন হচ্ছে, আমরা ২০১৮ এর মধ্যে ১৫টি ডিভাইস যেটি পাইলট করেছিলাম সেখান থেকে ২০২৫ এর মধ্যে ২০ হাজার কৃষক, ২০ হাজার ডিভাইস, সাড়ে ৩ হাজার উদ্যোক্তা এবং ১০টি ভিলেজকে ডিজিটাইজ করতে চাই। এভাবে ফেইজ ওয়ান, টু, থ্রি করে ২০৪১ সালের মধ্যে ২০ লাখ কৃষক, ২০ লাখ ডিভাইস এবং সাড়ে ৩ লাখ উদ্যোক্তাকে স্মার্টফার্মিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
স্মার্টফার্মিংয়ের এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলেও জানান জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, এই ইকোসিস্টেমের জন্য আমাদের ডিজিটাল ভিলেজ সেন্টার, ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার, ডিজিটাল ভিলেজেস, এমএফএস, ডিএফএস, ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল ট্রান্সজেকশন প্লাটফর্মসহ অন্যান্য কম্পনেন্টগুলোকে একত্রিত করে আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষিবিদ অর্থনীতি সমিতি এবং আইসিটি ডিভিশন মিলে আমরা মেমরেবল অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং তৈরি করতে চাই যাতে এই ২০৪১ সাল পর্যন্ত যে টার্গেট বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের যে আধুনিক রূপ, প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা স্মার্টফার্মিংয়ে উৎসাহিত করতে চাই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এমএন জিয়াউল আলম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগের অধ্যাপক মো. মঞ্জুরুল আলম
আলোচক হিসেব উপস্থিত ছিলেন এসিআই অ্যাগ্রো লিংক লিমিটেডের এমডি ও সিইও এফএইচ আনসারী। সেমিনারটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১)