Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the wordpress-seo domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/cyberbar42/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the soledad domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/cyberbar42/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
হোয়াটসঅ্যাপে আপনার কাছে ছয় ডিজিটের কোড চাইতে পারে দুর্বৃত্তরা - CyberBarta.com
  শনিবার, ডিসেম্বর ২১ ২০২৪ | ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল | ১৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

হোয়াটসঅ্যাপে আপনার কাছে ছয় ডিজিটের কোড চাইতে পারে দুর্বৃত্তরা

সাইবারবার্তা ডেস্ক: প্রতারণার এই পদ্ধতি নতুন নয়। বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। অনেকেই সেই ফাঁদে পা দিয়েছে এবং বিবিসি অনলাইনের খবরে বলেছে, এখনো মানুষ খুব যে বেশি সচেতন হয়েছে, তা-ও নয়। আগে সাবধান না হয়ে পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হতাশা প্রকাশ করছেন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা।

 

এদিকে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যবহারকারীর কখনো কোনো অবস্থায়ই নিজের মুঠোফোন নম্বরে আসা নিরাপত্তা কোড কাউকেই জানানো উচিত নয়। সেটা যতই কাছের মানুষ বলে পরিচয় দিক। সাধারণ এই প্রতারণার ফাঁদে পা দিলে পরে যে তা বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে, তা নিশ্চয় অনুমান করতে পারছেন। একটু সাবধান হলেই আর এই ঝামেলায় পড়তে হবে না।

 

কেউ আপনার অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করলে বুঝবেন কীভাবে

 

হোয়াটসঅ্যাপ নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার সময় কিংবা নতুন কোনো ডিভাইসে বিদ্যমান অ্যাকাউন্টে লগইন করার সময় মুঠোফোন নম্বরে সচরাচর ছয় ডিজিটের নিরাপত্তা কোড পাঠায় হোয়াটসঅ্যাপ। অ্যাপে সেই কোড দিয়ে অ্যাকাউন্ট সচল করতে হয়।

 

তবে মনে করুন, হোয়াটসঅ্যাপ থেকে নিরাপত্তা কোড আসার মতো কোনো কাজ আপনি করেননি। তবু নিরাপত্তা কোড এল আপনার মুঠোফোন নম্বরে। সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করার চেষ্টা করছে।

 

পরবর্তী ধাপে আপনার কাছে ওই ছয় ডিজিটের কোড চাইতে পারে দুর্বৃত্ত। সেটা হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে পারে, এসএমএসে পাঠাতে পারে আবার সরাসরি কল করেও জানতে চাইতে পারে।

 

অনেক সময় দুর্বৃত্তরা এক অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেই অ্যাকাউন্টের কন্টাক্ট তালিকায় থাকা মানুষদের কাছে কোড চায়। এতে ওই দুর্বৃত্তকে কাছের মানুষ ভেবে ভুল করেন ব্যবহারকারীরা। রহিম-করিমের চিরাচরিত উদাহরণ এখানে দেওয়া যেতে পারে। মনে করুন, রহিম করিমের বন্ধু। রহিমের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনো দুর্বৃত্ত যদি করিমের কাছে কোড চায়, তবে করিম ধরে নেবে কোডটি রহিমই চাচ্ছে।

 

এমন প্রতারণার শিকার চার্লি নামের এক ব্যক্তি বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমার কাছের বন্ধু মিশেলের নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তা পেয়েছিলাম। সেখানে লেখা ছিল, তাঁর অ্যাকাউন্টটি লকড হয়ে গেছে। এরপর ভুল করে নিজের নম্বরে না পাঠিয়ে আমার নম্বরে নিরাপত্তা কোড পাঠিয়েছে। আমাকে সেটির স্ক্রিনশট পাঠাতে বলেছিল।’

 

আদতে চার্লি তাঁর নিজের অ্যাকাউন্টে প্রবেশের কোড দিয়েছিল দুর্বৃত্তকে। বিবিসি তিনি বলেন, ‘ফাঁদে পা দিয়েছিলাম কারণ, আমরা সবাই জানি প্রযুক্তি মাঝেমধ্যে কতটা হতাশার কারণ হতে পারে। আমি চেয়েছিলাম (মিশেলকে) সাহায্য করতে। তবে মূল ঘটনা বুঝতে আমার পুরো এক দিন লেগেছিল।’

 

চার্লি বলেন, তিনি তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি এখন ডিলিট করে দিয়েছেন। আর কোনো দিন ব্যবহার করতে চান না। বিকল্প হিসেবে অ্যাপলের আইমেসেজ ব্যবহার শুরু করছেন।

 

অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুর্বৃত্তের লাভ কী

আপনার অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুর্বৃত্তরা আপনার ভূমিকায় ‘অভিনয়’ করতে পারে। মানে আপনার হয়ে আপনার পরিবার-পরিজনদের বার্তা পাঠাতে পারে। বলতে পারে যে আপনি খুবই সংকটে পড়েছেন, দ্রুত টাকা দরকার। এতে আপনার কন্টাক্ট তালিকার মানুষদের মুঠোফোন নম্বরও পেয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্ত। তাঁদেরও একই ফাঁদে ফেলতে পারে।

 

সবচেয়ে বড় কথা, আপনার কন্টাক্ট তালিকার মানুষদের সঙ্গে যে আলোচনা চালিয়েছেন, হ্যাকার তা দেখতে পাবে। সেখানে সংবেদনশীল তথ্য থাকতে পারে। আপনাকে জিম্মি করে অর্থ চাইতে পারে, আপনার ক্ষতি করতে পারে।

 

নিজের অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন কীভাবে

এক বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপ বলেছে, ‘ব্যবহারকারী এবং তাঁদের বার্তার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাধারণ এসএমএস বা ফোনকলের মতোই আপনার মুঠোফোন নম্বর আছে, এমন যে কেউ হোয়াটসঅ্যাপে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।’

 

সে ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের করণীয়

  • কখনো আপনার পাসওয়ার্ড বা এসএমএসে আসা নিরাপত্তা কোড কাউকে দেবেন না, পরিবারের সদস্য বা বন্ধু বললেও না।
  • আরেক স্তরের নিরাপত্তার জন্য টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন পদ্ধতি সচল করুন।
  • অর্থ চেয়ে বার্তা এলে সতর্ক থাকুন। খানিকটা সন্দেহ হলেও সেই বন্ধু বা পরিবারের সদস্যকে কল করে কথা বলে ব্যাপারটি যাচাই করুন।

ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের নির্দেশনার পূর্ণ তালিকা পাবেন এখানে

 

(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/৫ জুন ২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ