Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the wordpress-seo domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/cyberbar42/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the soledad domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/cyberbar42/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
সেক্সটোরশন নিয়ে আপনি কতোটা সতর্ক?
  রবিবার, ডিসেম্বর ২২ ২০২৪ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল | ১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সেক্সটোরশন নিয়ে আপনি কতোটা সতর্ক?

:: আহসান হাবীব ::

আপনি কি ইন্টারনেটে বন্ধু খুঁজছেন? বন্ধু খোঁজার অনেক প্লাটফর্মের মাঝে কি ফেসবুক খুব বিশ্বস্ত? নাকি মনের মতো বন্ধু পেতে দেশ পেরিয়ে বিদেশের ওয়েবসাইটে সার্চ শুরু করেছেন! এসব প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে আপনার জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা!

আপনি নারী নাকি পুরুষ তাতে কিবা আসে যায়। মানুষ হিসেবে সবার বন্ধু দরকার। কিন্তু অনলাইনের এই ওয়েবসাইটগুলোতে ওঁত পেতে আছে একদল মুখোশধারী মানুষ। যারা আপনার অজান্তেই আপনার সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। তাহলে আপনার করণীয় কী? ঠিক ধরেছেন, আপনাকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

আমরা মনের অজান্তে অনেক সাইট ব্রাউজ করি। এতে করে অনেক বিজ্ঞাপন ব্রাউজারের উপরে থাকে। হঠাৎ কোনো লিংকে ঢুকে পড়লেন। সেটার বিজ্ঞাপন আপনার কাছে বার বার আসতে থাকে। এবার বুঝছেন কোনোভাবে আপনি পৌঁছে যান ইন্টারনেটের অন্ধকার জগতে। আপনার মনের কৌতুহলকে কাজে লাগিয়ে এভাবেই চলে ইন্টারনেট দুনিয়া।

আপনি কি সেক্সটোরশন বিষয়ে জানেন? শব্দটি একেবারে নতুন, তাই না? তাহলে বিষয়টি জানতে পরতে থাকুন আর নিজেকে সুরক্ষার উপায় বুঝে নিন।

সেক্সটোরশন হলো আপনার তথ্য বা ছবি/ভিডিও কৌশলে আপনার কাছে থেকে নিয়ে ফাঁদে ফেলে বা হুমকি দিয়ে আপনার কাছে থেকে অর্থ আদায়ের কৌশল। ইন্টারনেটে অনেক দিনের পরিচয়ের পরে বন্ধু হঠাৎ বলে বসলো তোমার একটা ছবি দাও তো। আপনি বুঝে হোক আর না বুঝে হোক দিয়ে ফেললেন। এবার সে সত্যতার দোহায় দিয়ে আপনার কাছে থেকে আরো কয়েকটা ছবি চাইলো। আপনিও নিজেকে সত্যবাদী প্রমাণে আরো কিছু ছবি দিয়ে ফেললেন। বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরো এগিয়ে গেল। এবার আপনাদের মাঝে কিছু খোলামেলা কথা বার্তা হতে শুরু করলো । কেননা বিশ্বাস তো অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

আপনার কথার রেকর্ড, ছবি, আপনার ঠিকানা ততো দিনে কিভাবে নিয়ে নিয়েছে অপরিচিত এই অনলাইন ‘বন্ধু’ আপনি নিজেও বোঝেন নাই। এবার তার জোরাজুরির মাথায় আপনি আপনার কিছু গোপন ছবি দিয়ে ফেললেন। বন্ধু কিন্তু খুশি হলো না। বরং তার অনুরোধ দিনকে দিন বেড়ে চললো। সে আপনার কাছে থেকে কিছু অর্থ সহায়তা চাইলো। আপনি না দিতে চাইলেই তার আসল রূপ দেখতে পাবেন।

কী ভাবছেন? সব ডিলিট করে চলে আসবেন? অনলাইনে কী   আর হবে? আপনাকে কোথায় পাবে সে? এমন প্রশ্ন যদি আপনি এড়িয়ে যান তাহলে আপনার জন্য আরো খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে! আপনার মর্যাদা তো যাবেই, সঙ্গে সমাজের চোখে আপনি হয়ে উঠবেন চরিত্রহীন মানুষ!

অনলাইনে বন্ধু বেশে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসে থাকা প্রতিটি গ্রুপ তাদের কার্যক্রম বন্ধুত্ব দিয়েই চালিয়ে থাকে। ব্লু হোয়াইল গেমের নাম নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন। টাস্ক পূরণ করতে করতে আপনি ক্লান্ত হয়ে উঠলেও টাস্ক শেষ হবে না। টাকা দিলে সব চুপ। আবার কিছুদিন পরে অটো রিনিউ। এই সমস্যায় বেশি ভুক্তভোগী হয় সাধারণত নারী। পুরুষ যে একেবারেই না সে কথা বলা বাহুল্য।

ধনীর দুলালেরা এমন সমস্যায় পরে থাকেন। সমস্যা সমাধানে দিনের পরে দিন টাকা শেষ করে অবশেষে আত্মহত্যার মতো ঘৃণ্য  কাজে এগিয়ে যায় মানুষ। এতেই কি মুক্তি মেলে? না, জীবন শেষ করার পরেও কিন্তু চলে নানা নিন্দা।

হঠাৎ যদি আপনার অজান্তে আপনার ল্যাপটপ বা ফোন হ্যাক হয়ে যায় তাহলে আপনার করণীয় কী?  

হ্যাঁ, আপনার করণীয় আছে তা হলো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরামর্শ নেয়া। আপনার নামে কোনো ফেইক ফেসবুক আইডি বা সোস্যাল মিডিয়ায় কোনো ফেইক কিছু হলে আপনি আপনার সমস্যা নিকটস্থ থানায় জানাবেন। এতে করে আপনি অনেকটা চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন। আবার অনেক সময় আপনার মূল্যবান ফোন বা ল্যাপটপ হারিয়ে গেলেও একই সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই আপনার উচিত ব্যাকআপ হিসেবে আপনার তথ্য উপাত্তগুলো সংরক্ষণ করা।

টিভিতে অনেক সময় একটি অ্যাড দেখেছেন কিনা! নিজেদের ব্যক্তিগত সময়ের দৃশ্য নিজেরা ফোনে ধারণ করে। অফিস থেকে ফেরার পরে স্বামী দেখতে পায় তার ফোনটি হারিয়ে গেছে। আশা করি পরের ঘটনার আন্দাজ খুব সহজেই করতে পারছেন। নিজেদের ব্যক্তিগত ছবি, পারিবারিক ভিডিও স্মার্ট ফোনে না রাখাটা ভালো।

সুরক্ষা ও নিরাপত্তা না দিতে পারলে তা ব্যবহার না করাই ভালো। নিজের ফোনে বা ল্যাপটপ দিয়ে যা ইচ্ছে তাই করবেন না। মনে রাখবেন এই ফোন বা ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক যদি ভালোভাবে রিকভারি করা হয় তাহলে আপনি নিজেও আশ্চর্য হয়ে যাবেন। তাই একটি অযাচিত ছবি তোলার আগেও ভাবুন আপনার করণীয় কী। চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন, হার্ডডিস্ক থেকে আপত্তিকর কিছু ফুটেজ বা ছবি রিকভারি করে বের করে ব্লাকমেল করে কিছু সংঘবদ্ধ চক্র।

কিছু দিন আগে সময় সংবাদের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, চুরি যাওয়া মোবাইলের আইএমইআই নাম্বার পর্যন্ত পরিবর্তন করা হচ্ছে। তারা এই নাম্বার পরিবর্তন করে বিভিন্ন ভয়ভীতি বা ব্লাকমেইল করে অর্থ নিয়ে আসছিল। পুরো বিষয়টি শুনে অবাক হলেন তাই না?! অবাক হলেও এটাই সত্য ঘটনা। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়।

লেখক: সেক্রেটারি, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টার, সিসিএ ফাউন্ডেশন

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ