:: সাইবারবার্তা ডেস্ক:: সীমান্তে মোবাইল ফোনের টাওয়ার (বিটিএস) স্থাপনের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে এখন থেকে সীমান্তে বিটিএস স্থাপনে একাধিক সরকারি সংস্থার অনুমতির বদলে একটি সংস্থার অনুমতির প্রয়োজন হবে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) এই নির্দেশিকা জারি করা হয়।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমারেখা থেকে তিন থেকে আট কিলোমিটারের মধ্যে টাওয়ার স্থাপনের জন্য শুধু প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরকে (ডিজিএফআই) জানানো হবে। পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তা সংস্থার দিক থেকে নির্দেশনা এলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবেশী দেশ ভারত ২০২২ সালে সীমান্তে টাওয়ার স্থাপনসংক্রান্ত সব ধরনের শর্ত তুলে নেয়। সীমান্তের সীমারেখা থেকে শূন্য কিলোমিটারের মধ্যেই তারা টাওয়ার বসানো শুরু করে। এরপর থেকেই অপারেটরদের দাবি ছিল, বাংলাদেশের সীমান্তেও নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিভিন্ন শর্তগুলো সহজ করা। বিটিআরসি ২০২১ সালে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে টাওয়ার স্থাপনসংক্রান্ত নির্দেশিকা দিয়েছিল। সেটা রহিত করে নতুন এ নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলা ছাড়া আন্তর্জাতিক সীমারেখা থেকে দেশের অভ্যন্তরে (শূন্য থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে) মোবাইল টাওয়ার স্থাপনের ক্ষেত্রে বিটিআরসি সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের দাখিল করা আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্রের সঠিকতা যাচাই করবে। এরপর কমিশন অনাপত্তি প্রদানের বিষয়টি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরকে (এনএসআই) অবহিত করবে। আগের নির্দেশিকায় উল্লিখিত নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাছে ৪৫ দিনের মধ্যে অনাপত্তিপত্রের জন্য অনুরোধ জানানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।
অন্যদিকে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার আন্তর্জাতিক সীমারেখা থেকে দেশের অভ্যন্তরে (শূন্য থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে) টাওয়ার বসাতে হলে ৪৫ দিনের মধ্যে আপত্তি বা অনাপত্তি প্রদানের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে (এএফডি) অনুরোধ জানানো হবে। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে এএফডি থেকে মতামত পাওয়া না গেলে আপত্তি নেই হিসেবে গণ্য হবে এবং সে অনুযায়ী টাওয়ার স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তা সংস্থা থেকে কোনো দিকনির্দেশনা এলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগের নির্দেশিকায় সব নিরাপত্তা সংস্থার কাছে অনাপত্তিপত্রের জন্য অনুরোধ করতে হতো।
(সাইবারবার্তা.কম/২০জানুয়ারি২০২৫/১৫০৩)