সাইবারবার্তা ডেস্ক: ডিজিটাল লেনদেনের নথি ও দলিল ‘সাক্ষ্য বহি’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে এ সম্পর্কিত ঔপনিবেশিক আমলের আইন বাতিল করে নতুন আইন করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। সোমবার সংসদের বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন।
পরে বিলটি এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
১৮৯১ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে। ব্যাংকের লেজার বুক, ক্যাশ বুক এগুলোকে সাক্ষ্য বই বলা হয়। প্রস্তাবিত আইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যেসব রেকর্ড হবে, সেগুলোও ‘সাক্ষ্য বহি’ হিসেবে আইনে বিবেচিত হবে। ব্যাংকগুলোর লেজার বুক, ক্যাশ বুক, লোন ডেসপাস বুক যা আছে, সবই এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
বিলে বলা হয়েছে, আইনে বর্ণিত কারণ ছাড়া কোনো ব্যাংক কর্মকর্তা বা কর্মচারী কোনো গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করলে তার সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হবে। এ আইনের অধীন অপরাধ অ-আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য ও আদালতের সম্মতিতে আপসযোগ্য হবে বলে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে।
বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলমান বিশ্বায়নের যুগে দ্রুতগতিতে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের উন্নয়নের ফলে আইসিটিভিত্তিক ব্যাংকিং এখন অপরিহার্য। অনলাইন ব্যাংকিংসহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে ব্যাংকিং লেনদেনের তথ্যাদি ইলেক্ট্রনিক ডাটা ডিভাইসে সফট কপি হিসেবেও সংরক্ষিত হচ্ছে। ফলে ‘ব্যাংকারস’ বুকস এভিডেন্স অ্যাক্ট-১৮৯১ এর পরিবর্তে আইনটি সময়োপযোগী করে নতুন আাইন প্রণয়ন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/১৪ জুন ২০২১)