ইন্টারপোলের {ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি), কাঠমান্ডু} মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) জানতে পারে যে, বাংলাদেশের এক নাগরিক নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর জনৈক অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বিভিন্ন অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে মেসেঞ্জারের মাধ্যমে উক্ত মেয়ের ফেসবুক বন্ধু ও আত্নীয়-স্বজনের কাছে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করছে। এর ফলে ভিকটিম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে।
বিষয়টি নিয়ে সাইবার মনিটরিং টিম কাজ শুরু করে, আসামী মোহাম্মদ জাবেদ ওমর (২০), পিতা- মোহাম্মদ সামশুল ইসলাম, মাতা- মর্তুজা বেগম, ঠিকানা-গ্রাম-হালিমপুর, ইউপি- ০১ নং রাজানগর ইউনিয়ন, উপজেলা- রাঙ্গুনিয়া, জেলা – চট্টগ্রামকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। সাইবার মনিটরিং টিম অনুসন্ধানে জানতে পারে ‘ফ্রি ফায়ার’ খেলার মাধ্যমে ভিকটিমের সাথে আসামির পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হত। একপর্যায়ে আসামী অসৎ উদ্দেশ্যে কৌশলে ভিকটিমের স্পর্শকাতর ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে ভিকটিমকে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা দাবি করতে থাকে। পরবর্তীতে আসামি তার চাহিদা অনুসারে টাকা না পেয়ে ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে ভিকটিমের স্পর্শকাতর ছবি ও ভিডিও ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে পাঠায়।
সিআইডি সাইবার ইন্টেলিজেন্স এন্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি), বাংলাদেশ পুলিশ, সিআইডি, ঢাকা এর একটি চৌকস টিম গত ১৫/০১/২০২৫ খ্রি. আসামির অবস্থান শনাক্ত করে, চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানা এলাকা হতে আসামি মোহাম্মদ জাবেদ ওমর (২০), পিতা- মোহাম্মদ সামশুল ইসলাম, মাতা- মর্তুজা বেগম, ঠিকানা-গ্রাম-হালিমপুর, ইউপি- ০১ নং রাজানগর ইউনিয়ন, ডাকঘর-ঠান্ডাছড়ি, উপজেলা- রাঙ্গুনিয়া, জেলা – চট্টগ্রামকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তার জাবেদের কাছ থেকে একটি Poco X3 মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে জব্দ করা হয় । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং জব্দকৃত মোবাইল ফোনে ভিকটিমের স্পর্শকাতর ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। -বিজ্ঞপ্তি
(সাইবারবার্তা.কম/১৭জানুয়ারি’২৫/০৫৪৩)