বুধবার, ফেব্রুয়ারি ৫ ২০২৫ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল | ৫ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

সখীপুরের কাউন্সিলর সহ ৩ জন সাইবার মামলায় গ্রেফতার

সাইবারবার্তা ডেস্ক: টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় সাইবার অপরাধ মামলায় পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ও তাঁর ভাতিজিসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই তিনজন জামিন চেয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালতের বিচারক জামিন না দিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সখীপুর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ আজ শুক্রবার সকালে এ তথ্য জানান। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সখীপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা পারভিন বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ওই কাউন্সিলরসহ ১৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।

 

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সখীপুর পৌরসভা নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে শফিকুলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাফিজুল ওয়ারেসের পক্ষে প্রচারে অংশ নেন তাহমিনা পারভিন। এ নিয়ে শফিকুল ও তাঁর সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে কাউন্সিলর শফিকুলের নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল বের করা হয়। নির্বাচনে বিরোধিতা করায় ক্ষুব্ধ শফিকুল ও তাঁর সমর্থকেরা একজন পুরুষকে শাড়ি পরিয়ে তাহমিনা সাজিয়ে এবং একজন নারীকে পুরুষ সাজিয়ে তাহমিনার স্বামী পরিচয়ে বিজয় মিছিলের সামনে উল্লাস প্রকাশ করান। এ সময় মিছিলকারীরা কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন স্লোগান দেন। মিছিলটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি প্রচারও করা হয়। একজন নারীকে নিয়ে এমন অশোভন কর্মকাণ্ডে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

 

 

এ ঘটনায় ৮ ফেব্রুয়ারি তাহমিনা পারভিন বাদী হয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিলে আদালত কাউন্সিলরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও মামলার বাদী তাহমিনা পারভিন বলেন, ‘নির্বাচনে আমার ভাশুরের ছেলের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় শফিকুল ও তাঁর সমর্থকেরা আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করছি।’

 

 

আজ সকালে সখীপুর থানার উপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান বলেন, এ মামলায় কাউন্সিলরসহ সব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরে আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন আনেন। আগামী ২ জুন পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ ছিল। শুনেছি গতকাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে আসামিরা জামিন চেয়ে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত কাউন্সিলরসহ তিন আসামিকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

 

(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/২৮ মে ২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ