সাইবারবার্তা ডেস্ক: ক্রীড়াবিদদের কথা ভেবে শক্তপোক্ত গড়নের (রাগেড) স্মার্টওয়াচ বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করছে অ্যাপল ইনকরপোরেটেড। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া-নির্ভর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের শেষ কিংবা আগামী বছরের শুরুতে অ্যাপল ওয়াচের এমন কোনো সংস্করণ বাজারে ছাড়া যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা চালিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সে আলোচনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
এ নিয়ে অন্তত দুবার অ্যাপলের রাগেড স্মার্টওয়াচ তৈরির কথা শোনা গেল। ২০১৫ সালে অ্যাপল ওয়াচের প্রথম সংস্করণ বাজারে ছাড়ার পর ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি সংস্করণ তৈরির কথা ভেবে দেখে প্রতিষ্ঠানটি। অবশ্য বর্তমান সংস্করণটিও দৌড়বিদ, হাইকার কিংবা সাঁতারুদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। তাঁদের জন্য বেশ কিছু সুবিধাও আছে অ্যাপল ওয়াচে। তবে ক্যাসিও কম্পিউটার এবং অন্যান্য ঘড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত নিরাপত্তার স্মার্টঘড়িগুলোও বাজারে বেশ জনপ্রিয়।
বাজারে গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শেষ প্রান্তিকে স্মার্টঘড়ির বাজারে যথারীতি শীর্ষে ছিল অ্যাপল। মোট বিক্রির ৪০ শতাংশই ছিল অ্যাপলের।
অ্যাপল যদি এবার রাগেড স্মার্টওয়াচ বাজারে ছাড়ে, তবে সেটিতেও অ্যাপল ওয়াচের সাধারণ সুবিধাগুলো থাকবে। সঙ্গে ক্যাসিওর জি-শক সিরিজের ঘড়িগুলোর মতো নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত মোড়ক থাকবে।
অ্যাপল ওয়াচের সর্বশেষ সংস্করণগুলো এমনিতেই ৫০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত পানিরোধী। তবে নতুন সংস্করণটিতে হয়তো স্টেইনলেস স্টিল, টাইটানিয়াম ও অ্যালুমিনিয়ামের বদলে রাবারের ব্যবহার বেশি করা হবে।
তবে আলোচনা চলছে বলেই যে অ্যাপল ওয়াচের সংস্করণটি আলোর মুখ দেখবে, ব্যাপারটা তা নয়। পরিকল্পনা বাতিল হতে পারে, আবার পিছিয়েও দেওয়া হতে পারে।
এদিকে সাঁতার পর্যবেক্ষণের নতুন সুবিধা নিয়ে কাজ করছে অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটি সাধারণত নতুন সংস্করণের স্মার্টঘড়ি সেপ্টেম্বরে বাজারে ছাড়ে। গত বছর অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৬-এর সঙ্গে তুলনামূলক কম দামের অ্যাপল ওয়াচ এসই ছেড়েছিল। নতুন সুবিধা হিসেবে যুক্ত হয় ব্লাড অক্সিজেন সেন্সর।
অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে অ্যাপল ওয়াচ। তবে পণ্যটি থেকে বছরে কত আয় করে, তা আলাদা করে উল্লেখ করে না। সৌজন্যে: প্রথম আলো
(সাইবারবার্তা.কম/আরআই/জেডআই/২৮মার্চ,২০২১)