নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে রবিবার (৪ এপ্রিল)। রেজাল্ট তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। রবিবার যে কোনো সময় এই ফল প্রকাশ করা হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার অধিক সংখ্যক প্রার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ায় ফল তৈরির কাজে সহায়তা করতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সহায়তা নেয়া হয়েছে। সারাদেশ থেকে পাঠানো শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র স্ক্যানিং করা হয়েছে। সেগুলো ওএমআর মেশিনের মাধ্যমে দেখা হচ্ছে। এটিও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আজ রাতের মধ্যেই রেজাল্ট প্রস্তুত করে রাখা হবে। রবিবার যেকোনো সময় রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৫৬ জন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। যদিও ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার তুলনামূলকভাবে প্রশ্ন কঠিন হয়েছে। ফলে এবার কাট মার্কস (চান্স পাওয়ার সর্ব নিম্ন নম্বর) অনেক কম হবে। যদিও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কাট মার্কস ছিল ৬৭। তবে এবার কাট মার্কস ৬০ থেকে ৬৪ এর মধ্যে থাকবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ‘ব্যাটল অফ বায়োলজি’ কোচিং সেন্টারের সত্ত্বাধিকারী সাদিকুর রহমান সাদাব বলেন, আমরা প্রতিবার দেখি জোর সালের প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়ে থাকে। আর বিজোড় সালের প্রশ্ন সহজ হয়। তবে এবার বিজোড় সাল হলেও প্রশ্ন তুলনামূলকভাবে কঠিন হয়েছে।
তিনি বলেন, এবার কাট মার্কস খুব বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ৬১.৫ থেকে ৬৪ এর মধ্যে পেলেই আশা করছি সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ হবে। এছাড়া যেহেতু এবার ইউনিভার্সিটিগুলোর ভর্তি পরীক্ষা অনেক পড়ে হবে, তাই মাইগ্রেশনের বড় একটা সুযোগ থাকবে। মেডিকেলের আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩০০ এর কিছু বেশি হলেও এবার যারা ৫ হাজার সিরিয়ালের মধ্যে থাকবে, তারা সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাবেন।
শিক্ষার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে মেডিকেল ভর্তি আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. এ কে এম আহসান হাবীব বলেন, এবার যেহেতু পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। তাই প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি হবে। পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তরাই সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাবেন। আমরা সর্বোচ্চ নম্বর থেকে শুরু করে আসন সংখ্যা পর্যন্ত নম্বর কাউন্ট করব। এর পরেরগুলো বেসরকারি মেডিকেলে পড়তে পারবেন।
(সাইবারবার্তা.কম/এনটি/এমএ/৩ এপ্রিল ২০২১)