সাইবার বার্তা ডেস্ক: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীককে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মন্ত্রীর মালিকানাধীন গাজী গ্রুপের ম্যানেজার (এডমিন) মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে আশরাফুল আলম ভুঁইয়া জেমিন (২৬) ও আশফাকুল ইসলাম তুষার (২৯) নামে দুই যুবককে আসামি করে এ মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়ার মৃত নুরু মিয়ার ছেলে আশরাফুল আলম ভুঁইয়া জেমিন ও ইছাখালীর শামসুল মিয়ার ছেলে আশফাকুল ইসলাম তুষারসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন যুবক তাদের ফেসবুক আইডি থেকে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীককে জড়িয়ে এসব আপত্তিকর স্ট্যাটাস ছড়িয়ে দেন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আশরাফুল আলম ভুঁইয়া জেমিন তার ফেসবুক আইডি থেকে গোলাকান্দাইল এলাকার প্রস্তাবিত গাজী ক্রিকেট একাডেমির জন্য নির্ধারিত জমির ছবিসহ কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক ঘটনার অবতারণা করে একটি স্ট্যাটাস দেন।
সেই স্ট্যাটাসে গোলাম দস্তগীর গাজীর নির্বাচনী এলাকা নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সাধারণ জনগণ, আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ, অস্তিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়। এ ছাড়া বেশ কিছু দিন ধরে আসামিরা মোটরসাইকেলের মিছিল নিয়ে মন্ত্রীর নামে নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ এবং আপত্তিকর স্লোগান দিয়ে আসছেন।
এ ব্যাপারে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী গ্রুপের ম্যানেজার (অ্যাডমিন) মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
অভিযুক্ত আশরাফুল আলম ভুঁইয়া জেমিন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। প্রতিপক্ষের লোকজন আমার নামে ফেসবুকে আইডি খুলে অপপ্রচার চালাতে পারে। এ ঘটনায় আমি জড়িত নই।
রূপগঞ্জ থানার ওসি মহসিনুল কাদির বলেন, আসামিদের বিরূদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
উল্লেখ্য, আশরাফুল আলম ভুঁইয়া জেমিন ও আশফাকুল ইসলাম তুষারের নামে রূপগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সৌজন্যে: যুগান্তর
(সাইবারবার্তা.কম/এনটি/কম/২৪মার্চ২০২১)