Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the wordpress-seo domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/cyberbar42/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the soledad domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/cyberbar42/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
ব্রডব্যান্ড সুবিধা পৌঁছে গেছে অজপাড়া গাঁ গণেশপুরে - CyberBarta.com
  শনিবার, ডিসেম্বর ২১ ২০২৪ | ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল | ১৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ব্রডব্যান্ড সুবিধা পৌঁছে গেছে অজপাড়া গাঁ গণেশপুরে

সাইবারবার্তা ডেস্ক: গ্রামের নাম গণেশপুর। সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক বাসস্ট্যান্ড পার হয়ে খেয়াঘাট, এখানেই সড়ক সংযোগ শেষ। প্রত্যন্ত এ গ্রামে যেতে নৌকায় পার হতে হয় বিশাল সুরমা নদী। গণেশপুরের বাসিন্দা সরকারি চাকরিপ্রার্থী রেজওয়ানুল হক। ইন্টারনেট কানেকটিভিটিতে আসা অজপাড়াগাঁয়ের রেজওয়ানুল জানান তার অভিজ্ঞতার কথা।

 

আগে ফরম হাতে পূরণ করতে হতো, কিন্তু এখন সব অনলাইনে। সুরমা নদীর ওপারে থাকেন বলে আগে ব্রডব্যান্ড সুবিধা ছিল না, দোকানে গিয়ে মডেম দিয়ে অনলাইনে চাকরির ফরম পূরণ করতে হতো। ভালো ইন্টারনেট সুবিধা না-থাকায় একটা ওয়েবপেজ লোড হতেই তিন চার মিনিট লাগত। আর ফরম পূরণে সময় লাগত এক ঘণ্টার মতো। কিন্তু সড়ক যোগাযোগ না-থাকায় সত্যিকার অর্থেই এতদিন কোনো ফাইবার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছায়নি।

 

চলতি বছরের শুরুতে কার্নিভ্যাল ইন্টারনেট, বিশেষ ব্যবস্থায় ফাইবার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নিয়ে আসে এ গ্রামে। মানুষ যেন নতুন আলো খুঁজে পায়।

 

রেজওয়ানুল বলেন, ‘ওয়াইফাই লাইন আসার পর থেকে এখন আর কোনো সমস্যা হয় না। মানিকের দোকানে এসে নিজের ফোনেই ফরম পূরণ করি, বেশিক্ষণ লাগে না। অনলাইনে বইও অর্ডার করেছি। এ ছাড়া ইন্টারনেট সুবিধা থাকায় বইয়ের পিডিএফ কপি ডাউনলোড করে পড়তে পারি। কার্নিভ্যাল ওয়াইফাই হাট না-থাকলে শহরে গিয়ে বই কেনা লাগত। এখন ঘরের কাছেই সব পাচ্ছি। দোকানে ওয়াইফাই কার্ড পাওয়া যায়। যখন যতটুকু লাগে, কিনে ব্যবহার করি। স্পিড খুব ফাস্ট। ডেটা নিয়ে কোনো চিন্তাই নেই। এখন খালি চাকরিটা হলেই আমি খুশি।

 

এ উদ্যোগের ব্যাপারে কার্নিভ্যাল ইন্টারনেটের ডিরেক্টর জামান খান বলেন, বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ে এখনো ইন্টারনেট সুবিধা সেভাবে পৌঁছেনি। সরকার বেশকিছু এলাকায় ইউনিয়ন লেভেল পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

 

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের সবার। এ দায়িত্বশীলতা থেকেই শহরের বাইরে যেখানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রান্তিক পর্যায়ে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে যাওয়ার খরচ অনেক বেশি, এরপর গ্রাহক পর্যায়ে সেবা পৌঁছাতে খরচ আরও বেড়ে যায়। সারা দেশের সব এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।

 

গ্রাম ও শহরে ইন্টারনেটের মানের তারতম্য নিরসনে পদক্ষেপের ব্যাপারে জামান খান বলেন, হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য যেমন ইউজার বেজ থাকা দরকার, মাসিক আয় দরকার, সেই অর্থনৈতিক জায়গাটা এখনো তৈরি হয়নি।

 

গ্রামে মোবাইল ইন্টারনেট সেবাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। এ বিষয়গুলো গ্রাম ও শহরে ইন্টারনেট সেবার মানে একটা বিভেদ তৈরি করেই।

 

ডটলাইন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহবুবুল মতিন বর্তমান সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’-এর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এ অনুপ্রাণিত হয়ে শহর এবং গ্রামের মানুষের ডিজিটাল বিভাজন কমিয়ে আনার জন্য ‘কার্নিভ্যাল গো রুরাল’ প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো, অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে হাই স্পিড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন নিশ্চিত করা। ইতোমধ্যে আমরা এর সুফলও দেখতে পাচ্ছি। সবার হাতেই এখন ইন্টারনেট, তাই মানুষ প্রচলিত পদ্ধতি থেকে বের হয়ে এসে কৃষিপ্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। ফলে কৃষিতে একটা বড় বিপ্লব চলে এসেছে।

 

তিনি বলেন, দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আরও সহজলভ্য করার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আরও বড় বিপ্লব নিয়ে আসা সম্ভব। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষগুলোকে সুলভে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কার্নিভ্যাল পৌঁছে গেছে সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত এলাকাগুলোয়ও।

 

টেকনাফ, তেঁতুলিয়া, হিলি, বুড়িমারি, তামাবিল, দর্শনা, বাংলাবান্ধা, সোনামসজিদের মতো দূরের স্থলবন্দরগুলোয় ব্রডব্যান্ড সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। আগে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের অভাবে গ্রামের সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ তেমন ছিল না। আমরা বিশ্বাস করি, কার্নিভ্যাল ইন্টারনেট শহর এবং গ্রামের ডিজিটাল বিভেদ কমাতে সক্ষম। সৌজ‌ন্যে: যুগান্তর

 

(সাইবারবার্তা.কম/এন‌টি/এমএ/৯ এ‌প্রিল ২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ