সাইবারবার্তা ডেস্ক: ডিজিটাল ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, কম্পিউটার কিংবা ট্যাবলেট’এ যখন কেউ বুলিং বা গালিগালাজ করে তখন তাকে সাইবার বুলিং বলে। এস এম এস, টেক্সট, সোশ্যাল মিডিয়া, ফোরাম, গেমিং এসব জায়গায় যেখানে একসাথে অনেক লোক অংশগ্রহণ করতে পারে কিংবা কন্টেন্ট শেয়ার পারে সাইবার বুলিং এর মত অপরাধ সংঘটিত হয়। সামাজিক মাধ্যমে কারও ব্যাপারে নেতিবাচক কোন কিছু বলা, কাউকে বিব্রতকর বার্তা বা কন্টেন্ট পাঠানো, কারও ব্যাপারে মিথ্যা বা বানোয়াট কিছু পোস্ট করা প্রভৃতি কর্মকান্ড সাইবার বুলিং এর অন্তর্ভুক্ত। কাউকে হেয় করার উদ্দেশ্যে বা অপমান করার উদ্দেশ্যে তার ব্যক্তিগত তথ্য পাবলিকলি প্রচার করা হলে সেটিও সাইবারবুলিং হিসেবে গণ্য হয়। সাধারণত নিম্নোক্ত জায়গাগুলোতে সাইবারবুলিং সংঘটিত হয়ে থাকে –
- সোশ্যাল মিডিয়া – ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, স্নাপচ্যাট এবং টিক টক
- টেক্সট মেসেজিং এবং মেসেজিং অ্যাপ
- ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং, ডিরেক্ট মেসেজিং এবং অনলাইন চ্যাটিং
- অনলাইন ফোরাম, চ্যাট রুম, মেসেজ বোর্ড (যেমন রেডিট)
- ইমেইল
- অনলাইন গেমিং কমিউনিটি
সাইবার বুলিং এর ধরণ
বিভিন্ন উপায়ে সাইবার বুলিং ঘটে থাকে। বাস্তব কিছু উদাহরণ দিলে এ বিষয়টি আরও বোধগম্য হবে। সাইবারবুলিং এর মত ঘটনাকে সংবেদনশীলতা দিয়ে অনুধাবন করা উচিৎ কেননা এই আপাত তুচ্ছ ঘটনাটি আত্নহত্যার মত জীবননাশী সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করতে পারে। কমন কিছু সাইবার বুলিং পদ্ধতি হলো –
- অনলাইনে কারও অনুমতি না নিয়ে নুড ফটো শেয়ার করা
- কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা রটানো বা কুৎসা রটানো
- অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করা
- মিথ্যা প্রোফাইল ব্যবহার করে কারও তথ্য চুরি করে তা পাবলিকলি প্রকাশ করা
- কাউকে সুইসাইড বা নিজের ক্ষতি করতে উদ্বুদ্ধ করা
- কাউকে তুচ্ছজ্ঞান করা বা খাটো করে দেখা
- ইর্ষাপরায়ন হয়ে কারও বিরুদ্ধে নেতিবাচক কন্টেন্ট পাবলিশ করা
- অনলাইন গেমিং এ কারও কোন ব্যক্তিগত তথ্য বা মতামতকে শেয়ার করা বা ঘৃণা ছড়ানো
সৌজন্যে: ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/জেডআই/২১মার্চ২০২১)