সাইবারবার্তা ডেস্ক: ভিডিও স্ট্রিমিং সামাজিক নেটওয়ার্ক বিগো লাইভের মাধ্যমে গত তিন বছরে দেশ থেকে অবৈধ ভাবে শত কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি সাইবার পুলিশের ডিআইজি জামিল আহমেদ। এর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংক এজেন্টও সংশ্লিষ্ট রয়েছে জানিয়ে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হয়েছে।
রোববার (১৩ জুন) দুপুরে সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি।তিনি বলেন, বিগো লাইভ অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশি লক্ষাধিক ব্যবহারকারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনলাইন ব্যাংকিং, হুন্ডি, ভার্চুয়াল মুদ্রা ও ব্যাংকের মাধ্যমে ডায়মন্ড কিনছে। বাংলাদেশি এজেন্সিগুলো ডায়মন্ড কিনে আনে বিদেশি অ্যাডমিনদের কাছ থেকে। এসব এজেন্সি বিভিন্ন অবৈধ মাধ্যম ব্যবহার করে বিদেশে অর্থপাচার করে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার হচ্ছে।
শনিবার রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে লাইকি ও বিগো লাইভের মাধ্যমে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়া এই চক্রের বিদেশিসহ আটক ৫ সদস্যকে পরিচয় করিয়ে দেন সিআইডির এই মুখপাত্র।
তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক মোস্তফা সাইফ রেজা বিগো লাইভের বাংলাদেশি এডমিন। মো. আরিফ হোসেন বাংলাদেশে বিভিন্ন মেয়েদের মাসিক বেতনে চাকরি দিয়ে বিগো লাইভের সঙ্গে যুক্ত করতেন। এস এম নাজমুল হক ভার্চুয়াল মুদ্রা-ডায়মন্ড বিক্রির অন্যতম প্রধান বাংলাদেশি এজেন্ট এবং আসমা উল হুসনা সেজুতী বিগো লাইভের প্রধান এডমিন। এডমিনরা মাসিক এক লাখ টাকা করে বেতন পেতেন। এদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন এবং পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা করা হয়েছে। সামনে অর্থ পাচারের আইনের আওতায় তাদের নিয়ে আসা হবে।
সংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জামিল আহমেদ বলেন, আমরা প্রতিদিন সিপিসি-থেকে ৮-১০টি ভাল্গার কন্টেন্ট চিহ্নিত করে তা বন্ধ করতে বিটিআরসি-কে দিচ্ছি। বিটিআরসি সেগুলো বন্ধ করে আমাদের জানাচ্ছে। তবে প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অফিস বাংলাদেশে না থাকায় তাদেরকে দায়ি করতে পারছি না। তাদের বন্ধও করতে পারছি না।তবে লাইকির মতো যেসব অ্যাপ বিতর্কিত ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটাচ্ছে প্রয়োজনে সরকার সেগুলো বন্ধ করে দেবে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/১৪ জুন ২০২১)