নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: উত্তরের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা ব্যান্ডউইথের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চাইছে ভারত। এ জন্য সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) কাছে রবিবার একটি প্রস্তাবও পাঠিয়েছে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল)। অবশ্য এর দিন চারেক আগেই এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন ভারতের রেলওয়ে, যোগাযোগ, তড়িৎ কৌশল ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বিষ্ণু। তিনি দেশটির মনিপুরে দেয়া এক ভাষণে বলেছিলেন, আগামী ৫ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা ব্যান্ডউইথ দ্বিগুণ করতে কাজ করছে তার সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ থেকে নেয়া বিদ্যমান ব্যান্ডউইথ চুক্তির অধীনেই ব্যান্ডউইথের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া হবে। এর সব প্রস্তুতিই রয়েছে বাংলাদেশের।
২০০৬ সালে ব্যান্ডউইথ নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ৫ বছরের জন্য চুক্তি করেছিলো ভারত। এরপর গত বছর সেপ্টেম্বরে তিন বছরের জন্য চুক্তিটি নবায়ন করে। সেই অনুযায়ী, একই দরে ১০জিবির পরিবর্তে প্রতিবেশী দেশটিকে ২০জিবি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ভারত সরকারকে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা ব্যান্ডউইথের পরিমাণ দ্বিগুণ কেন, এর বেশিও দেয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
ভারতের মন্ত্রীর খবর প্রত্রিকায় পড়ার দুই দিন বাদে রবিবার এ বিষয়ে প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমান।
এদিকে ভুটানও বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে দেন-দরবার করছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। তিনি জানালেন, ল্যান্ডলক কান্ট্রি হিসেবে নেপাল এবং শ্রীলঙ্কাও আমাদের কাছ থেকে ব্যান্ডউইথ নিতে পারে।
এর আগে গত বছর সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে ৬০০ জিবিপিএস এবং মালয়েশিয়া ২শ’ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ নিয়েছে। এই ব্যান্ডউইথ দেয়া হয়েছে অব্যবহৃত ব্যান্ডিইথ থেকে। এরপরও দেশে পশ্চিমে এখনো ২১০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ অব্যবহৃত পড়ে আছে। তাই পশ্চিমের যে ব্যান্ডউইথ আছে তা রপ্তানি করার জন্য মুখিয়ে আছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
বর্তমানে দেশের দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা ২৬শ’ জিবিপিএস। এর বিপরীতে ব্যবহার হচ্ছে ১৭শ’ জিবিপিএসের ব্যান্ডউইথ। রপ্তানির পাশাপাশি ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা বাড়াতে জোরেশোরে চলছে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের কাজ। তৃতীয় ক্যাবলটি যুক্ত হলে আরো ৭ হাজার ২শ’ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা বাড়বে। তবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চাপে থাকা পূর্ব দিকের ব্যান্ডউথ দেশের চাহিদা ভালো ভাবেই মেটাতে সক্ষম হবে বলে মনে করছে সরকার।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/১০ জানুয়ারী ২০২২)