সাইবারবার্তা ডেস্ক: নিখোঁজ থাকা অবস্থায় ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের প্রথম স্ত্রীর কাছে মিথ্যা পরিচয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে যার ছবি ও নাম ব্যবহার করা হয়েছিল সেই মেহেদি হাসান পেশায় একজন দন্তচিকিৎসক। এ সংক্রান্ত নিউজ দেখে শুক্রবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মেহেদি হাসান।
জিডিতে মেহেদি হাসান উল্লেখ করেন, বাসায় বসে ফেসবুক চালানোর সময় হঠাৎ দেখতে পাই আমার ছবি ও নাম ব্যবহার করে ‘আবু ত্ব-হা আদনানের স্ত্রীর কাছে মুক্তিপণ চাওয়া মেহেদির অস্তিত্ব পায়নি পুলিশ’ লিখে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। ওই সংবাদটি ফেসবুক, অনলাইন ও ইউটিউবে প্রচার হয়।তিনি লেখেন-‘Mehdi Hasan’ এই ফেইক আইডি থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে যা আমার নিজস্ব আইডি নয়।
ইসলামি বক্তা হিসাবে পরিচিত আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান নিখোঁজের আট দিন পর শুক্রাবার ফিরে এসেছেন। ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপন করেছিলেন বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসার পর পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। এছাড়া তার তিন সঙ্গীকেও হেফাজতে নেওয়া হয়।
সন্ধ্যায় তাদের আদালতে হাজির করা হয় জবানবন্দি নেওয়ার জন্য। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন শুক্রবার ডিবি কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। রাতে রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম হাফিজুর রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার পর নিজ নিজ জিম্মায় তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ১০ জুন নিখোঁজের সময় ত্ব-হা রাজধানীর মিরপুরে অবস্থান করছিলেন। তখন রাত ২টা ৩৭ মিনিট। সর্বশেষ কথা হয়েছিল তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারার সঙ্গে। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সেখান থেকে ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারে রংপুরের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।
তার সফর সঙ্গী ছিলেন বগুড়া জেলার শিবগঞ্জের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফিরোজ আলম, গাড়িচালক রংপুর নগরীর উত্তর আশরতপুরের বাসিন্দা আমির হোসেন ফয়েজ ও রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার জায়গীর কাফ্রিখাল এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মুহিত। তারা ঢাকা থেকে গাইবান্ধায় যান।
সেখানে ত্রিমোহনী এলাকায় বন্ধু সিয়াম ইসলামের বাসায় ওঠেন ত্ব-হা ও তার সঙ্গীরা। সেখানেই এতদিন আত্মগোপন করে ছিলেন তারা। শুক্রবার সকালে গাইবান্ধা থেকে তারা তিনজন রংপুরে আসেন।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/১৯ জুন ২০২১)