বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ৬ ২০২৫ | ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - শীতকাল | ৬ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

ডিজিটাল বিভাজন বৈষম্য দূর হবে:পলক

সাইবারবার্তা ডেস্ক: তিন পার্বত্য জেলায় ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেয়ার মাধ্যমে দেশে ডিজিটাল বিভাজন বৈষম্য দূর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও  যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।মঙ্গলবার  কানেক্টেড বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পার্বত্য অঞ্চলে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপনের কাজ ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রস্তাব অনুমোদনের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির সভায় দেয়া বক্তব্যে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

 

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তাফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও আইসিটি  সচিব এনএম জিয়াউল আলম সভায় সংযুক্ত ছিলেন। সভায় প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান,    তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় সারাদেশের ইন্টার্নেট অবকাঠামো তৈরির কাজ চলমান আছে। ইতোমধ্যে দেশের ৪৫৭৩টি ইউনিয়নের মধ্যে বিটিসিএল ১০০০ ইউনিয়ন কানেক্টিভি প্রকল্পের মাধ্যমে ১২১৯টি ইউনিয়নে নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি ১৭টি ইউনিয়নে সংযোগ স্থাপন করেছে এবং আরও ৩৪টি ইউনিয়নে সংযোগ স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল হতে ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায় প্রকল্পের মাধ্যমে ২৬০০টি ইউনিয়নে কানেক্টিভি স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে এবং টেলিযোগাযোগ সুবিধা বঞ্চিত এলাকাসমূহে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি স্থাপন (কানেক্টেড বাংলাদেশ) প্রকল্পের আওতায় ৬১৭টি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা হবে।

 

 সভায় জানানো হয়, পার্বত্য অঞ্চলে মোট ১২১টি ইউনিয়নের মধ্যে বিটিসিএল এর মাধ্যমে ১৫টি ইউনিয়ন সংযোগ প্রদান করা হয়েছে এবং ইনফো সরকার ৩য় পর্যায় প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫টি ইউনিয়ন ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ৩২টি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের কাজ চলমান আছে। কানেক্টেড বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি জেলায় (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন) মোট ৫৯টি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হবে। এই সংযোগ প্রদানের জন্য ৬৬৫ কিঃমিঃ অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল স্থাপন করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ উক্ত কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সম্পাদনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

 

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি স্থাপনের ফলে ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা, গ্রোথ সেন্টার, টেলিকম অপারেটর ইত্যাদি স্থানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হবে এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি)-এর নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়াও টেলিযোগাযোগ সুবিধা বঞ্চিত এলাকায় জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি ই-সেবাসমূহ পৌঁছানোর; আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে ই-কমার্স, ই-সার্ভিস, টেলিমেডিসিন সেবা প্রসার এবং শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের জনগণের মধ্যে ডিজিটাল বিভাজন বৈষম্য দূরীকরণের উক্ত কানেক্টিভিটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।

 

(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/১০ জুন ২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ