সাইবারবার্তা ডেস্ক: সারাবিশ্ব নানান বৈশ্বিক সংকটে জর্জরিত। একদিকে জলবায়ু পরিবর্তন আবার অন্যদিকে শরণার্থীদের সংকট। আবার আরেক দিকে মহামারীর প্রভাব। এই সংকটের মধ্যে পৃথিবী ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের নিবিড় সম্পর্কে গুরুত্ব ছড়িয়ে দিতে চালু হলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম অরাঃ একটি ভবিষ্যৎ সমাজ। এর মাধ্যমে দেশে ডিজিটাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ১৬টি লক্ষ্যমাত্রাতেেই প্রযুুক্তি ব্যবহারের ভূমিকা রাখা প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে প্লাটফর্মের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
আইক্যান ফাউন্ডেশন ও ইএমকে সেন্টারের সহায়তায় গত ৫-৭ জুন তিনদিনব্যাপী চিত্র, ছবি, গান ও আলোচনাসহ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে চালু হয় প্রোগ্রামটি। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকৃতি ও পরিবেশকে রক্ষা করে সাধারণ মানুষের আচরণ এবং কাজকে প্রভাবিত করার জন্য কাজ করবে এই ডিজিটাল প্লাটফর্ম, জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (২০১৫-২০৩০) প্রণয়ন করে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালে জাতীয় টেকসই উন্নয়ন কৌশলপত্র (২০১০-২০২১) প্রণয়ন করে। সেই লক্ষ্যমাত্রাকে কার্যকর করার উপায় নিয়ে কাজ করবে এই প্ল্যাটফর্ম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান, ইএমকে সেন্টারের পরিচালক আসিফ উদ্দিন আহমেদ, ফটোগ্রাফার আবির আব্দুল্লাহ, ইউএসএইডের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ শাহদাত হোসেন শাকিল ও রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক স্মৃতি কেন্দ্রের আর্ট ফেসিলিটেটর সাদিয়া মিজান।
উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান বলেন, “আসছে সময়ের চ্যালেঞ্জ অনেক। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রকৃতি ও পরিবেশের দিকে খেয়াল রাখা ভীষণভাবে জরুরী। নতুন এই প্ল্যাটফর্ম সেই বিষয়টির দিকেই খেয়াল রাখবে বলে আশা করি।” নতুন এই প্ল্যাটফর্মের প্রেক্ষিত সম্পর্কে আইক্যান ফাউন্ডেশনের প্রধান আইরিন খান বলেন, “নানান কারণে আমাদের প্রকৃতি ও পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। সেই প্রভাব কাটাতে আমাদের মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ব নাগরিক হিসেবে নিজেদের বিকাশের জন্য সবার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় তৈরি করতে হবে। নতুন করে সেই সংযোগ তৈরি কাজ শুরু করছে আরা।” অনুষ্ঠানের প্যানেল ডিসকাসনে ইয়ুথ পলিসি ফোরামের ফেলো তানভীর আহমেদ হারুন, শফিকুল আলম, আফসারা মির্জা অংশ নেন।
এছাড়াও নদী ও মানুষ আয়োজনে আন্তঃসীমান্ত নদী ও ভূরাজনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ও নদীকে ঘিরে সংস্কৃতি ও জনজীবন বিষয়ে কথা বলেন সাংবাদিক শেখ রোকন, চলচিত্র নির্মাতা মোল্লা সাগর ও রিভারাইন পিপলের ডিরেক্টর নুসরাত খানের সাথে। এছাড়াও বন পাহাড়ের গান নামের বিশেষ একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নানান আদিবাসী গোষ্ঠীকে সংযুক্ত করে।
স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আইনী কাঠামো গণতান্ত্রিক সমাজে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে। টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কে দায়বদ্ধ করে তুলতে কাজ করবে এই নতুন প্ল্যাটফর্ম। উদ্বোধনী এ আয়োজনে দেশের নানা প্রান্তের নানান ক্ষেত্রে কাজ করছেন এমন তরুণ শিক্ষার্থী, গবেষক, গণমাধ্যমকর্মী ও পেশাজীবীরা অংশ নেন।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/৯ জুন ২০২১)