নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট বা ফাইভজির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরির মধ্য দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে দেশে টেলিটকের মাধ্যমে ফাইভজি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শনিবার টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ-টিআরএনবি আয়োজিত ‘ফাইভজি ইকোসিস্টেম ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড আপকামিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন,’অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে আমরা সামনের দিকে যেতে পারি সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিঃসন্দেহে করবো। আমরা টেলিটকের মাধ্যমে ২১ সালের মধ্যে আমাদের ফাইভজির রোলআউট স্টার্ট করবো। অর্থাৎ প্রতীকী উদ্বোধনটি করবো। ২২ সালে টেলিটক সম্প্রসারিত হবে। আমরা ২১ সালের ভেতরে ফাইভজির স্পেকট্রাম নিলাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর সেটিও যদি আমরা করে থাকি তাহলে ২২ সালের মধ্যে অন্য অপারেটরদের ফাইভজির ময়দানে আমরা আসতে দেখবো।’
‘২০২১ সালে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত হবে সেই শব্দটিকে আমরা যথাযথ মূল্যায়ন করে ২১ সালের মধ্যে এবং এটি সম্ভবত ডিসেম্বর মাসে। এই ডিসেম্বর মাসে আমাদের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দিন আছে। ১২ ডিসেম্বর আমদের ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। এইরকম কোনো একটি বড় দিনকে উপলক্ষ করে আমারা এই ফাইভজির রোলআউটটি শুরু করবো।’, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
ফাইভজি চালুর ক্ষেত্রে পলিসিগত এবং তরঙ্গ নিলামে সরকারের নানান পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ও বিটিআরসি কমিশনার এবং ফাইভজি নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এ কে এম শহীদুজ্জামান।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে জানান, সরকার ব্রডব্যান্ড পলিসির তৈরির বিষয়ে কাজ করছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ব্রডব্যান্ড পলিসির প্রথম ড্রাফট হবে এবং ২২ সালের মার্চ এপ্রিলের মধ্যে চূড়ান্ত নীতিমালা করা হবে।
ফাইভজি নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জানান, ফাইভি তরঙ্গ নিলামের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন তা ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। ফলে ফাইভজি তরঙ্গ নিলামে কোনো বাঁধা নেই।
তিনি আরও জানান, মোবাইল অপারেটরগুলোর বাৎসরিক লাইসেন্স ফি সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্যও কাজ করছে বিটিআরসি।
বিভিন্ন দেশে ফাইভজির অবকাঠামোগত বিষয় নিয়ে কাজ করছে এরিকসন এবং হুয়াওয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে দেশে ফাইভজি অবকাঠামোর জন্য প্রয়োজনীয় নানান পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে এরিকসনের কান্ট্রি ম্যানেজার আব্দুস সালাম জানান, ফাইভজি অবকাঠামোর জন্য প্রয়োজন ট্রান্সপোর্ট এবং কোর নেটওয়ার্ক রেডিনেস। ফাইভজি চালুর জন্য এসব বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
হুয়াওয়ের চিফ অপারেটিং অফিসার তাওগোয়ানজিও তার বক্তব্যে ফাইভজি চালুতে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাহাব উদ্দীন, বাংলালিংকের সিইও অ্যান্ড অ্যামটবের চেয়ারম্যান এরিক অস, গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও রিয়াজ রশীদ।
টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১)