সাইবারবার্তা ডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও এ সংক্রান্ত সেবা খাতে (আইটি-আইটিইএস) কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে ১৫ লাখের বেশি তরুণ-তরুণীর। চলতি বছরেই ২০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। তিনি বলেন, এর ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মাধ্যমে এ খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে এ আয় ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।
শনিবার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ অভিযাত্রার অর্জন ও ভবিষ্যৎ গন্তব্য’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জকে সুযোগ হিসেবে নিতে হবে। এজন্য অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হবে।
তিনি বলেন, দেশে একটি ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে শিক্ষা অবকাঠামো পরিবর্তন করে অ্যাক্টিভ লার্নিং ও হাতে কলমে প্রশিক্ষণ, গবেষণা, সমস্যা সমাধান এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এ সময় উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক ব্যবস্থাপনাকে আরো সহজ করারও পরামর্শ দেন তিনি। প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে এরই মধ্যে সরকারি মৌলিক সেবার ৯০ শতাংশ চলে এসেছে অনলাইনে। মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই এখন ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে পারছেন।
বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক হুসাইন সামাদের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ। আলোচক হিসেবে অংশ নেন এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী, বিডার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম, ডেটাসফট ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান, এসবিকে টেক-ভেঞ্চারস এর প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির এবং তারেক এম বরকতুল্লাহ।
(সাইবারবার্তা.কম/আরআই/এমএ/১০এপ্রিল,২০২১)