নিজস্ব প্রতিবেদক, সাইবারবার্তা: পিএস৫ এবং এক্সবক্স সিরিজ এক্স অবমুক্ত করার পর থেকেই উভয় কনসোল পাওয়া বরাবরই অত্যন্ত কঠিন ছিল। বিভিন্ন পোকেমন ট্রেডিং কার্ডের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যেতে পারে। কারণ, এই সংগ্রহযোগ্য আইটেমের উচ্চ চাহিদা। কনসোলগুলো হার্ডকোর গেমারদের হাতের নাগালে নিয়ে আসতে চাইলেও সেই প্রচেষ্টা বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি সনি এবং মাইক্রোসফট।
কিন্তু, এই আইটেমগুলির উচ্চ চাহিদার সুবিধা নিতে সক্ষম হয়েছেন রিসেলাররা। এদেরই একজন ১৬ বছর বয়সী ম্যাক্স হেডেন। উচ্চ মূল্যে পিএস৫, এক্সবক্স সিরিজ এক্স এবং পোকেমন ট্রেডিং কার্ড পুনরায় বিক্রি করে ১৭ লাখ ডলার আয় করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি নতুন প্রোফাইলে জানা গেছে, মাত্র ১৮ মাসে এসব কনসোল বিক্রি করেছেন হেডেন। এ থেকে তারা প্রকৃত মুনাফা হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ডলার।
পিএস৫ এবং এক্সবক্স সিরিজ এক্স-এর চলমান সরবরাহ ঘাটতি সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত সনি এবং মাইক্রোসফট। তবে এই ঘাটতিকে সঙ্কটের পর্যায়ে নিয়ে যান তৃতীয় পক্ষের এই পুনর্বিক্রেতারা।
প্লেস্টেশনের সিইও জিম রায়ানের এক বিবৃতি থেকে জানা গেছে, সনি মুনাফাখোর রিসেলারদের আচরণে হতাশ। এ কারণেই সংস্থাটি খুচরা বিক্রেতাদের সাথে কাজ করছে, যাতে পিএস৫ এর স্টক সরাসরি ভোক্তাদের হাতে যায়। বেশ কয়েকটি বড় চেইন খুচরা বিক্রেতাও তাদের অনলাইন নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য কাজ করছে যাতে বটগুলি ব্যাপক কেনাকাটা করতে না পারে।
যদিও স্ক্যালপার ও বট কনসোল এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স স্টকের ঘাটতি কনসোলের বাজার সঙ্কটের প্রধান কারণগুলির মধ্যে অন্যতম; তবে এর পেছনের আরো একটি কারণ রয়েছে। আর তা হলো- চলমান মহামারীতে বিশ্বব্যাপী চিপ ঘাটতি।
বিশেষজ্ঞ এবং শিল্পের অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষকরা গত মার্চে জানিয়ছিলেন, বিশ্বব্যাপী চিপসের ঘাটতির পূরণের কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই খেলোয়াড়দের জানা কথা, পিএস৫ এবং এক্সবক্স সিরিজ এক্স উভয়ই আগামী মাসগুলিতে পাওয়া কঠিন হবে। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই ঘাটতি ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/৬ জুলাই ২০২১)