Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the wordpress-seo domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/cyberbar42/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the soledad domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/cyberbar42/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
কুষ্টিয়ায় অনলাইন ও বাড়ি থেকেই বিক্রি হয়েছে ৩৫ ভাগ পশু - CyberBarta.com
  বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১ ২০২৪ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - হেমন্তকাল | ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কুষ্টিয়ায় অনলাইন ও বাড়ি থেকেই বিক্রি হয়েছে ৩৫ ভাগ পশু

জেলায় সব মিলিয়ে গড়ে ১৩৫ কোটি টাকা মূল্যের গরু রয়েছে। ইতিমধ্যে অনলাইন ও বাড়ি থেকে বিক্রীত গরুর মূল্য ৩৫ কোটি টাকার বেশি হবে বলে মনে করছে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস।

 

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার জেলায় গরু ও ছাগল মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ ৫১ হাজার পশু রয়েছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার। এ বছর ছাগল ও গরু বিক্রির জন্য অনেক খামারিই হাটের ওপর নির্ভর করছেন না। ঢাকা ও চট্টগ্রামের ব্যাপারীরা ছাড়াও কুষ্টিয়ার অনেকেই বাড়িতে গিয়ে গরুর দরদাম করছেন। বেশ কিছু খামারি অনলাইনেও গরু বিক্রি করছেন। অনলাইনে পশু কেনাবেচাতেও ভালো সাড়া মিলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

 

জেলায় সব মিলিয়ে গড়ে ১৩৫ কোটি টাকা মূল্যের গরু রয়েছে। ইতিমধ্যে অনলাইন ও বাড়ি থেকে বিক্রীত গরুর মূল্য ৩৫ কোটি টাকার বেশি হবে বলে মনে করছে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। এ ছাড়া বিক্রীত ছাগলের বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি ২০ লাখ টাকার।

ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের টিপু-পাপিয়া দম্পতির ৩৫ মণ ওজনের গরু ‘পাগলু’।  গরুটি কেনার জন্য প্রতিদিনই ক্রেতারা তাঁদের বাড়িতে ঢুঁ মারছেন। অনেকেই ফোন করে গরুটির দরদাম করছেন।

ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের টিপু-পাপিয়া দম্পতির ৩৫ মণ ওজনের গরু ‘পাগলু’। গরুটি কেনার জন্য প্রতিদিনই ক্রেতারা তাঁদের বাড়িতে ঢুঁ মারছেন। অনেকেই ফোন করে গরুটির দরদাম করছেন। 
ছবি: প্রথম আলো

 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এবার আগেই বাড়ি ও অনলাইন হাট মিলিয়ে ৩৫ ভাগ পশু বিক্রি হয়ে গেছে। ঈদের আগেও আরও অনেক পশু এভাবে বিক্রি হবে। এ ব্যাপারে খামারিদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। হাট খুলেছে। সবাইকে সতর্ক হয়ে হাটে যাওয়ার ব্যাপারে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

 

সারা দেশেই কুষ্টিয়ার গরুর বিশেষ চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারে এই জেলার গরুর আলাদা কদর আছে। তাই এসব অঞ্চলের ব্যাপারীরা আগেভাগেই গরু কিনে নিজেদের কাছে রাখছেন। এসব গরু তাঁরা ঈদের আগে বাজারে তুলবেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ঢাকার অনেক ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবী আগেই ফরমাশ দিয়ে গরু কিনে রেখেছেন। ঈদের দু–এক দিন আগে তাঁরা ঢাকায় গরু নিয়ে যাবেন।

 

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর এলাকার ব্যবসায়ী ওমর ফারুকের খামারে দেশি জাতের প্রায় ৫০টি গরু ছিল। প্রায় ২০ দিন আগে তাঁর বেশির ভাগ গরু খামার থেকেই বিক্রি হয়ে গেছে। এতে এ বছর একদিকে তাঁর যেমন ঝামেলা কমেছে, অন্যদিকে গরু বিক্রি করে ভালো লাভও পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

এবার হাট বসলেও সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া

 

খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার অনেকেই বিধিনিষেধের কারণে পশু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন। এ জন্য তাঁরা বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই বাড়িতে বসে পশু বিক্রির ওপর জোর দেন। তবে ইতিমধ্যে সরকার হাট বসানোর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেওয়ায় খামারিরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

 

সদর উপজেলার আব্দালপুর গ্রামের ব্যাপারী শরিফুল ইসলাম জানান, অনেক সময় হাটের শেষ ভাগে তুলনামূক বেশি লাভে পশু বিক্রি করার সুযোগ পাওয়া যায়। তিনি বলেন, গত বছর ঢাকায় শেষের দিকে গরু ও ছাগল ফুরিয়ে গিয়েছিল। ওই সময় তাঁরা ভালো দাম পেয়েছিলেন।

 

এদিকে হাটের ইজারাদাররা বলেন, করোনার কারণে সময়মতো হাট না বসায় তাঁরা লোকসানে পড়েছেন। কোটি কোটি টাকা দিয়ে হাট ইজারা নিয়ে এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাঁদের। এক সপ্তাহে একবার হাট বসিয়ে লাভ হবে না। তবু হাট বসানোর সিদ্ধান্তে তাঁরা খুশি বলে জানান তিনি।

 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, জেলার খামারিদের নানাভাবে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে এবার অনলাইনে কোরবানির পশুর হাট ভালো সাড়া ফেলেছে। আবার অনেকেই বাড়ি থেকে বেচাকেনা করতে পারছেন। তবে এবার হাট বসলেও সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

(সাইবারবার্তা.কম/আইআই/১৭ জুলাই ২০২১)

শেয়ার করুন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশ